আন্তর্জাতিক ডেস্ক,সিটিনিউজবিডিঃ জিকা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে ১৮০ কোটি ডলারের জরুরি তহবিল চাইবে বলে জানিয়েছেন ওবামা প্রশাসন। ভাইরাসটি লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। বিবিসি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় অন্যান্য উদ্যোগের সঙ্গে মশা নিয়ন্ত্রণ ও টিকা গবেষণা কর্মসূচিতে এই অর্থ প্রদান করা হবে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এমন দেশগুলোতে মশা নিয়ন্ত্রণ ও সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়াতে কিছু অর্থ প্রদান করা হবে। প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ২৬টি দেশে ইতিমধ্যে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলো নিশ্চিত করেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ৫০জন ব্যক্তি জিকার প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন অঞ্চল থেকে ফিরে আসার পর তাদের দেহে ভাইরাসটি পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ছোটমাথা নিয়ে জন্মগ্রহণকারী ৪,০০০ শিশুর সঙ্গে জিকা ভাইরাসের কোনো যোগসূত্র রয়েছে কিনা এ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ব্রাজিল। মেডিক্যাল পরিভাষায় শিশুদের ছোট মাথা বা ত্রুটিযুক্ত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মানোর সমস্যাটিকে বলা হয় ‘মাইক্রোসেফালি’। কিন্তু এরপরও জিকা ভাইরাসের কারণে ‘মাইক্রোসেফালি’ সমস্যা বা ছোট মাথার শিশুর জন্ম হচ্ছে কিনা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ মাসের শুরুতেই বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জিকার প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন অঞ্চল থেকে আসা ব্যক্তির দেওয়া রক্ত গ্রহণ না করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। জিকা প্রতিরোধে উপযোগী প্রতিষেধক তৈরি করে বাজারে আসতে বেশ সময় লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।