সিটিনিউজবিডিঃ সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডিককের সেঞ্চুরিতে সাত উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
৩১৯ রানের টার্গেট নিয়ে উইকেটে এসে সাবধানি ও ডিককের আগ্রাসি ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি ইংলিশরা। ২৩৯ রানে ১ম উইকেট পতনের আগে জয়ের শক্ত ভিত গড়ে যান ডিকক। প্রোটিয়া এই ওপেনারের ১৩৫ রানের ইনিংসে ১৬টি চার ও ৪টি ছয়ের মার রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ডু প্লেসিকে না পাঠিয়ে ডেভিড ওয়াইসকে পদোন্নতি দিয়ে পাঠানো হয় উইকেটে। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেলেন ৭ রান করেই। তবে এ ম্যাচে আমলার আক্ষেপ থাকতেই পারে যে, দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেন না। জয়ের ঠিক কাছাকাছি এসে ক্রিস জর্ডানের বলে ফিরে যান আমলা। এরপর ডু প্লেসি এবং ডি ভিলিয়ার্স মিলে শেষটা শেষ করে মাঠ ছাড়েন।
৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে টিকে থাকলো স্বাগতিকরা। এর আগে পরপর দুই ম্যাচ জিতে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে ইংলিশরা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-১ এ টিকে থাকল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটির স্থায়িত্ব বেশিক্ষণ টিকেনি। দলীয় ৩৬ রানে রান আউটে কাটা পড়ে বিদায় নেন জেসন রয়। এরপর এলেক্স হেলস ও জো রুট মিলে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন তারা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা করেন ১২৫ রান। ৬৫ রান করে রাবাডার বলে মরকেলের হাতে আউট হন তিনি। ১৬১ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পর আবারো রাবাডার আঘাত। এ পর্যায়ে কোন রান করবার আগেই জস বাটলারকে ফেরান তিনি। অধিনায়ক মরগান ও ফিরে যান স্বল্প সময়ের ব্যবধানে।
১৮৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জো রুট আর বেন স্টোকস মিলে দ্রুতগতিতে রান তোলেন। পঞ্চম উইকেটে তাদের ৮২ রানের জুটিতে ইংলিশদের রান ২৬৯ এ পৌঁছায়। শেষের দিকে রশিদ-উইলির ছোট ঝড়ে ৩১৮ রানের পূজি গড়তে সমর্থ হন।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচ যথাক্রমে ১২, ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি জোহানেসবার্গ ও কেপটাউনে অনুষ্ঠিত হবে।