গোলাম শরীফ টিটু : চট্টগ্রামে বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে একটি ট্রলার থেকে ১৫ লাখ ইয়াবা আটক করেছিল নৌ বাহিনী। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এই মরন নেশা ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের ঘটনায় ২ দেশের ১৪টি চক্র জড়িত বলে র্যাব জানিয়েছে। র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, এ দুটি দেশের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বৈধ ব্যবসার ছদ্মাবরনে মুলত খুব দ্রুত টাকা রোজগারের জন্য এবং কিছু ব্যবসায়ী স্বাভাবিক ব্যবসায় লোকসান দিয়ে ইয়াবা পাচারের মত অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। ১৪টি চক্রের বিষয়ে র্যাবের তথ্য অনুযায়ী মিয়ানমারের ৬টি ও বাংলাদেশের ৮টি চক্র সক্রিয়। অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বাকলিয়া বস্তুহারা বস্তিতে প্রায়ই ইয়াবার বড় বড় চালান খালাস হচ্ছে। বার্মা জসিমের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ইয়াবা ব্যবসায় স্থানীয় সরকার দলীয় নেতা, পাতিনেতা ও বখাটেরা জড়িত।
স্থানীয় পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সাথে গোপন সমঝোতায় বাস্তুহারা বস্তিতে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছে। পুলিশ বা র্যাবের কোন অভিযান না থাকায় এই সিন্ডিকেট দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশের আশ্রয়ে বার্মা জসিমের নেতৃত্বে ইয়াবা ব্যবসা চলছে গোটা বাকলিয়ার বস্তিতে। রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতায় যখন বাকলিয়ার বস্তিতে ইয়াবা ব্যবসা চলছে তখন প্রশাসন নির্বিকার। র্যাবের সুত্রমতে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবার বড় চালানগুলো টেকনাফ, কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী ও আনোয়ারার গহিরায় ইয়াবা পাচারকারী সদস্যদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। জানা গেছে, অনুকুল ঠাকুর আশ্রমের পাশে ঘাটে ইয়াবার চালান খালাস হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ঘাটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার ইয়াবা চালান খালাস হলেও প্রশাসন নির্বিকার। জানা যায়, পুলিশের গাফিলতি ও সম্পর্ক থাকায় ইয়াবা সিন্ডিকেট রাজনৈতিক চলছে রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতায়। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন নেতা ইয়াবা ব্যবসার পৃষ্টপোষকতা করছে। গোয়েন্দা সংস্থা এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে দেখছে, প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ’ঘাট ব্যবহার করে মিয়ানমার থেকে সরাসরি নদীপথে ইয়াবা বাকলিয়াতে খালাস হচ্ছে। এই ইয়াবার চালানের সাথে সরকারীদলের লোক জড়িত থাকায় পুলিশ এড়িয়ে যাচ্ছে অপরাধীদের। আইন যেন এখানে লুকোচুরি খেলছে এখানে অপরাধীদের সাথে।