সেমিতে রিয়াল মাদ্রিদ

0

এ মৌসুমে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ যেন রিয়াল মাদ্রিদের যমে পরিণত হয়েছিল। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে টানা সাত ম্যাচে জয়বঞ্চিত হয় কার্লো আনচেলোত্তির দল। তবে অষ্টম ম্যাচে এসে অ্যাটলেটিকো-গেরো খুলতে পেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে অ্যাটলেটিকোকে একমাত্র গোলে হারিয়েছে রিয়াল। গত সপ্তাহে দুই দলের শেষ আটের প্রথম লেগের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছে রোনালদো-রদ্রিগেজদের দল।
ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালের জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন হাভিয়ের হার্নান্দেজ। তাও আবার ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে, ৮৮ মিনিটে। আর গোলের যোগানদাতা রিয়ালের সেরা তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে ছিলেন না গ্যরেথ বেল ও করিম বেনজেমা। তবে শুরু থেকেই ছিলেন রোনালদো। ম্যাচের ১৩ মিনিটেই গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দিতে পারতেন এই পর্তুগিজ মহাতারকা। কিন্তু ডি বক্সের সামনে বল পেয়ে পোস্টের বাইরে দিয়ে শট নেন তিনি।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে অ্যাটলেটিকোর সামনে। তবে গোমেজের শট ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস। ৩৩ মিনিটে রোনালদোর ফ্রি-কিক বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন অ্যাটলেটিকোর গোলরক্ষক জ্যান অবলাক। বিরতিতে যাওয়ার ঠিক দুই মিনিট আগে সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু ছোট বক্সের ভেতর বল পেয়েও অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারেননি সিআর-সেভেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারছিল না দুই দলের কেউই। এরই মাঝে ৭৬ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অ্যাটলেটিকোর আরদা তুরান। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় অতিথিরা। এই সুযোগটাও কাজে লাগাতে পারছিল না রিয়াল। তবে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে রিয়ালের ত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন হাভিয়ের হার্নান্দেজ। বক্সের ভেতর রোনালদোর পাস থেকে ঠাণ্ডা মাথায় ফিনিশিং দেন মেক্সিকোর এই ফরোয়ার্ড।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.