সিটিনিউজবিডি: আইনি প্রক্রিয়া না মেনে যশোর শহরের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু সড়কে ১৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রাতের আঁধারে উচ্ছেদ করে পুলিশ ক্লাব স্থাপন করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
সম্মেলনে যশোরের মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর-এর নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক অভিযোগ করেন, ‘পুলিশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো উচ্ছেদ করেই ক্ষান্ত হয়নি। গত বুধবার রাতে নিজেরা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিরীহ ব্যবসায়ীদের আসামি করে মামলা দিয়েছে।
’এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) ভাস্কর সাহা বলেন, ওই জমি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পুলিশ বিভাগের আওতায় রয়েছে। সরকারি জমি উদ্ধারে এই অভিযান চালানো হয়েছে। আদালতে মামলা চলাকালে উচ্ছেদ অভিযান বিধিবহির্ভূত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দখলকারীরা জাল দলিল দেখিয়ে মামলা করেছেন। সরকারি স্বার্থে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছেন তাঁরা।মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে ভাস্কর সাহা বলেন, ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয়ে কে বা কারা বোমা হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় লোকজনকে সাক্ষী করে কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, ১৯১০ সালে শহরের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু সড়কের সরকারি জমি বরাদ্দ নিয়ে গোপী নাথ রায় চৌধুরী, মাসুদ আলম, আসাদুজ্জামান শিপলুসহ কয়েকজন বংশানুক্রমে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দ দেওয়া জমিটি নিজেদের দাবি করে পুলিশ প্রশাসন। একপর্যায়ে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। কিন্তু বিচারিক আদালতে পুলিশ হেরে যায়।