বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে সরগরম আমেরিকার রাজনীতি

0

সিটিনিউজবিডিঃ উচ্চ আদালতে নতুন বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই রাজনৈতিক শিবির। বিচারপতি এ্যানটনিন স্ক্যালিয়ার আকষ্মিক মৃত্যুতে এ বিতর্ক দেখা দেয়। শনিবার ভোরে ঘুমের মধ্যে স্ক্যালিয়া মারা যান। মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক এ ঘোষণার পর প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নেয়া হবে সহসাই। প্রেসিডেন্টের এ উদ্যোগের বিরোধী রিপাবলিকান শিবির। দলটির নেতারা বলছেন আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর বিচারপতির শূন্যপদটি পূরণ করা হউক।

এ্যানটনিন স্ক্যালিয়ার মৃত্যুর কয়েক ঘন্টার মধ্যে তার উত্তরসুরি নিয়োগ নিয়ে বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে মার্কিন রাজনীতি। নির্বাচনের বছর হওয়ায় এ নিয়োগ রাজনীতিতে রঙ ছড়াচ্ছে নতুন করে।

প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, ‘বিচারক নিয়োগ কোনো দলের বিষয় নয়। নির্দিষ্ট সময়ে শূন্যপদে একজন বিচারক নিয়োগ প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক দায়িত্ব।’ বলেন, ‘নিয়োগ দেয়ার পর সিনেট সদস্যরা নতুন বিচারপতিকে পরখ করার অনেক সময় পাবেন’।

সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ট দলের নেতা ম্যাককনেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের ভবিষ্যত বিচারপতি নিয়োগে জনগনের মতামত বিবেচনায় নেয়া দরকার। সে কারণে নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেয়ার আগে কাউকে নিয়োগ দেয়া ঠিক হবে না।’

রিপাবলিকান সিনেটর ও সিনেট আইন বিষয়ক কমিটির সভাপতি সিনেটর লিনসে গ্রাহাম বলেছেন, ‘সমঝোতার ভিত্তিতে বিচারপতির শূন্যপদে নিয়োগ দেয়া না গেলে, ভবিষ্যত প্রেসিডেন্ট শপথ নেয়ার পর এ নিয়োগ চুড়ান্ত করবেন।’

সিনেটে সংখ্যালগিষ্ঠ ডেমোক্র্যাট দলের নেতা হ্যারি রেইড রিপাবলিকান নেতাদের যুক্তি প্রত্যাখান করে বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় পড়ে আছে। এগুলো দ্রুত নিস্পত্তির জন্য বিচারপতির শূন্যপদ পূরণে সিনেট সদস্যদেরও ভূমিকা রয়েছে।’ বলেন, ‘শূন্যপদে বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে রাখা হবে নজিরবিহীন ঘটনা।’

ডেমোক্র্যাট নেতারা বলেন, ১৯৮৮ সালে ক্ষমতার শেষ বছর বিচারপতি হিসেবে এ্যানথনি কেনেডিকে নিয়োগ দেন রোনাল্ড রিগান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.