পর্যটন,পরিবেশ : চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ জুড়ে রয়েছে পাহাড়ী অঞ্চলের বিশাল বিস্তৃতি। তেমন সৌন্দর্য থেকে বাদ পড়েনি আমাদের এই অপরূপ রূপবতী বাংলাদেশ। সেই বিশাল পাহাড়ের বিশাল রূপ অবলোকনের আশায় সর্বদা ছুটে যায় ভ্রমণপিয়াসী মানুষ।
বাংলাদেশের সীমান্তে মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা ঠান্ডা পানির প্রবল স্রোত থরে থরে সাজানো পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলে। ঠিক যেন মৃদুমন্দ বাতাসের সাথে ভেসে চলা একটি পাথুরে নদী। পাথরের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে পায়ে ব্যাথা পাওয়ার সম্ভাবনা। তবে তাতে কি! ভ্রমণ আনন্দের তোড়ে তুচ্ছ সব কিছু। শীতকালে নদীর কিছু অংশ শুকিয়ে সমুদ্র সৈকতের বালুর তীরের দৃশ্যের কিছুটা রূপ নেয়। তা দেখতে দেখতে বাসনা হলো নদীতে ডিঙ্গি নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর।
নীল পানির স্নিগ্ধ নদী যেন শান্ত কোলাহলমুক্ত সবুজ মনোরম অঞ্চলের সাথে তাল মিলিয়ে ঘোরের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দিল। গোসলের প্রস্তুতি নিয়ে নদীতে ঘুরে ঠান্ডা পানিতে স্নান করতেই এক নতুন অনুভূতির সাথে পরিচয় পাওয়া পাবেন। নদীর মাছ আর স্থানীয় খাবারের স্বাদে পেট ভরিয়ে আবার যাত্রা শুরু করতে পারেন।
তারপরে আসতে পারেন শাহ-পরানের মাজারে। এরপর শাহ-জালালের মাজার আর সিলেট শহরের বিস্তার ও তার সান্ধ্য জীবনযাত্রা দেখে শেষ করতে পারবেন পুরা সময়টা। রাস্তায় কুয়াশা থাকার ফলে গাড়ির ভিতর থেকে আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
তাই যদি সময় পান তাহলে একবার সিলেট ঘুরে আসতে পারেন।