সিটিনিউজবিডিঃ বিআরটিসি বগুড়া বাস ডিপোর চুক্তিভিত্তিক নারী কর্মচারীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাসচালক আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে আটক করা হয় আরো এক দম্পতিকে।
মঙ্গলবার ভোর রাতে পুলিশ শহরের খান্দার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধর্ষিতা ওই নারী বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার ৫ দিন পরেও ব্যবস্থা না নেয়ায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হয়। রাতেই সংবাদটি বগুড়া জেলা পুলিশের নজরে আসে। এরপর সোমবার মধ্য রাতে পুলিশ খান্দার এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আবুল বাশার কৌশলে পালিয়ে যায়। ভোর রাতে প্রতিবেশী এক বাড়িতে আশ্রয় নিলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
বগুড়ার সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) ফজলে ইলাহী জানান, ঘটনাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এবং প্রাথমিক অবিযোগের ভিত্তিতে আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, বিআরটিসি বগুড়া বাসডিপোর একজন মৃত বাস চালকের কিশোরী মেয়েকে মানবিক বিবেচনায় কম্পিউটার শাখায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। একই ডিপোর বাসচালক আবুল বাশার (৩৫) ওই কিশোরীকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি শহরের খান্দার এলাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় স্ত্রী-সন্তান না থাকার সুযোগে আবুল বাশার ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গত বৃহস্পতিবার ধর্ষিতা এ বিষয়ে বিআরটিসি বগুড়া বাসডিপো ম্যানেজারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। এরপর ৫ দিন অতিবাহিত হলেও বাসচালক আবুল বাশারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে আবুল বাশার নানা কৌশলে ঘটনাটি আপোষের মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। বিআরটিসি বাসডিপোর শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতরা ধর্ষিতার পক্ষ নিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ম্যানেজারকে অনুরোধ জানায়। কিন্তু ম্যানেজার নিহার রঞ্জন মজুমদার বিভিন্নভাবে তালবাহানা করেন এবং মেয়েটিকে থানায় মামলা করতে নিষেধ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে কালক্ষেপন করতে থাকেন।