সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলী খান!

গত বছর সাইফের পদ্মশ্রী খেতাব কেড়ে নেওয়া হবে বলে খবর চাউর হয়েছিল। এবার শোনা যাচ্ছে, পৈতৃক সম্পত্তিও নাকি হারাতে যাচ্ছেন বলিউডের প্রভাবশালী এ তারকা অভিনেতা।
তিন বছর আগে একটি রেস্তোরাঁয় মারামারি করায় ফৌজদারি মামলা হয় সাইফের বিরুদ্ধে। এর রেশ ধরে গত বছর খবর চাউর হয়, সাইফের পদ্মশ্রী খেতাব কেড়ে নেওয়া হবে। এক মাস আগে সাইফের স্ত্রী ‘হিরোইন’ তারকা কারিনা কাপুর খান জানান, পদ্মশ্রী খেতাব ফিরিয়ে দিতে সাইফের কোনো আপত্তি নেই। এদিকে, উত্তরাধিকারসূত্রে ভোপালের নবাব পরিবারের সম্পত্তির মালিক অভিনেতা-প্রযোজক ও পতৌদির নবাব সাইফ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। কিন্তু সম্প্রতি ভোপালের নবাব পরিবারের সম্পত্তিকে অর্পিত সম্পত্তি বলে রায় দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ উচ্চ আদালত।
দুই মাস আগে ভোপালের নবাব পরিবারের সম্পত্তিকে অর্পিত সম্পত্তি বলে রায় দিয়েছিল কাস্টডিয়ান অব এনিমি প্রোপার্টি ফর ইন্ডিয়া (সিইপিআই)। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও ডিক্রি দিয়েছিল ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানটি। এবার মধ্যপ্রদেশ উচ্চ আদালতও ভোপালের নবাব পরিবারের সম্পত্তিকে অর্পিত সম্পত্তি বলে রায় দিলেন। সম্প্রতি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে পিটিআই।
এদিকে ভোপালের নবাব পরিবারের সম্পত্তিকে অর্পিত সম্পত্তি বলে যে রায় দেওয়া হয়েছে, তা মানতে নারাজ সাইফ। এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা মামলা ঠুকে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি মামলাটির প্রাথমিক শুনানির সময় সিইপিআই বরাবর একটি নোটিশ পাঠিয়েছেন বিচারক বন্দনা কাসরেকার। নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ভারতের এনিমি প্রোপার্টি অ্যাক্ট ১৯৬৮-এর আওতায় একটি নোটিশ পাঠান হয়েছিল সাইফ বরাবর। ভারতের স্বাধীনতার সময় কিংবা তার পরে যাঁরা ভারত ছেড়ে পাকিস্তান চলে গেছেন, তাঁদের সম্পত্তিকে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে এই এনিমি প্রোপার্টি অ্যাক্টে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সিইপিআই-এর মাধ্যমে অর্পিত সম্পত্তির ওপর সরকার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এই অ্যাক্টে।
১৯৫০ সালে ভোপালের নবাব হামিদুল্লাহ খানের বড় মেয়ে আবিদা সুলতান ভারত ছেড়ে পাকিস্তান চলে যান জানতে পারার পর হামিদুল্লাহ খানের সম্পত্তিকে অর্পিত সম্পত্তি বলে ঘোষণা দেয় সিইপিআই। কিন্তু সাইফের আইনবিষয়ক উপদেষ্টা রাজেশ পাঞ্চোলি আদালতকে জানিয়েছেন, হামিদুল্লাহ খানের মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তির মালিক হন তাঁর ছোট মেয়ে মেহের তাজ সাজিদা সুলতান। তিনি সাইফের দাদি। হামিদুল্লাহ খানের বড় মেয়ে আবিদা সুলতান স্বেচ্ছায় ভারত ছেড়ে পাকিস্তান চলে গিয়েছিলেন। কখনোই তাঁকে ভোপালের নবাব পরিবারের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করা হয়নি।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.