মালয়েশিয়ায় ১৫ লাখ শ্রমিক পাঠাতে চুক্তি সই

0

ঢাকা : মালয়েশিয়ায় আরো বড় পরিসরে বেশি সংখ্যক শ্রমিক পাঠাতে যাচ্ছে জিটুজি প্লাস (সরকার থেকে সরকার) চুক্তিতে সই করেছে বাংলাদেশ। দেশটিতে ৩ বছরে ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী পাঠাতে এ চুক্তি স্বাক্ষর হল।

12744117_1056896904368688_7445714379039148253_n(1)

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ চুক্তি সম্পন্ন হয়। মালয়েশিয়ার পক্ষে মানবসম্পদমন্ত্রী সেরি রিচার্ড রায়ট এবং বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে গতকাল (বুধবার) রাত ৮টায় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী সেরি রিচার্ড রায়টের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছে।

সূত্র জানায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভায় ‘জিটুজি প্লাস’ চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন প্রক্রিয়ায় সরকারের পাশাপাশি কর্মী পাঠানোর সুযোগ থাকছে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর।এতে অভিবাসন ব্যয় হতে পারে ৩৪ হাজার থেকে ৩৭ হাজার টাকা। এই টাকার মধ্যে থাকবে, রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ, ইমিগ্রেশন স্মার্টকার্ড, রেজিস্ট্রেশন ফি এবং কর্মীর অনওয়ে টিকিটের মূল্য। ‘জিটুজি প্লাস’ চুক্তি সম্পন্ন হলে প্লানটেশনের পাশাপাশি কনস্ট্রাকশন, ম্যানুফেকচারিং ও সেবাখাতসহ সবখাতেই কর্মী যেতে পারবে। নতুন এ প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিকভাবে ৩ থেকে ৫ বছরে ১৫ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়া যাবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে আরো জানা যায়, বর্তমানে জিটুজি (সরকার থেকে সরকার) প্রক্রিয়া চলমান আছে। এ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র প্লানটেশনখাতে ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ে ৫ বছরে ৫ লাখ কর্মী নেয়ার কথা ছিলো মালয়েশিয়ার। মালয়েশিয়ার আশ্বাসে ও সরকারের ঘোষণায় ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ১৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৭৬ জন ভাগ্যান্বেষী নিবন্ধন করেন।

নিবন্ধনকারীদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৩৬ হাজার ৩৮ জনকে নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিতদের মধ্যে এ পর্যন্ত তিন স্তরে প্রায় ৯ হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে সক্ষম হয়েছে। তাই এ প্রক্রিয়ার ধীরগতি ও স্থবিরতা কাটাতে নতুনভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে দু’দেশের সরকার। আগের জিটুজি প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র প্লানটেশনখাতে সরকারের থেকে সরকারের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর সুযোগ ছিলো। অন্য কোনো বেসরকারি এজেন্সি কর্মী পাঠাতে পারতো না। তবে হতে যাওয়া জিটুজি প্লাস চুক্তিতে প্লানটেশনসহ বেশ কয়েকটিখাতে দেশটিতে কর্মী পাঠানোর সুযোগ থাকছে। একই সঙ্গে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোও দুই সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশি কর্মী পাঠাতে পারবে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি এ ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘মালয়েশিয়ায় বড় পরিসরে কর্মী পাঠাতে ‘জিটুজি প্লাস’ চুক্তি সই হবে। এই সমঝতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর হলেই বিদেশে লোক যাওয়া শুরু করবে। যেসব রিক্রুটিং এজেন্সির ট্র্যাক রেকর্ড ভাল, মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে যাদের অতীত অভিজ্ঞতা আছে তারাই শুধু কর্মী পাঠাতে পারবে।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.