কেউ যেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ভয় দেখাতে না পারে

0

ঢাকা: ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ যাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ভয় দেখাতে না পারে, খুন গুম না করতে পারে সেজন্য সকল জেলার পুলিশ সুপার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।

আইজিপি বুধবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর/১৫) বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সভায় সকল পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ সুপার, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘জনগণ তথা কমিউনিটি পুলিশকে সাথে নিয়ে ইনটেলিজেন্স সংগ্রহ, ঝুঁকি পর্যালোচনা এবং প্রতিকারের সব ধরনের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনের সময় কেউ যাতে কোন কেন্দ্র দখল, ভয়ভীতি দেখাতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’ কেউ যেন কোনভাবে নির্বাচনী পরিবেশ অশান্ত করতে না পারে তা-নিশ্চিত করতে সকল পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আইজিপি।

তিনি বলেন, ‘যদি কেউ গোলযোগ করতে চায় তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা নিতে হবে, তার প্রার্থীতা বাতিলের জন্য রিপোর্ট দিতে হবে।’

আইজিপি সারাদেশে মাদক নির্মূল কমিটি গঠনের জন্য সকল পুলিশ কর্মকর্তাকে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘শুধু মামলা নিয়ে, তদন্ত করে, চার্জশিট দিয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। জনগণ তথা কমিউনিটি পুলিশকে সম্পৃক্ত করে অপরাধ প্রতিহত করতে হবে। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মাদকসহ অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে সচেতন করতে হবে।’ এছাড়া, ভাড়াটিয়া, ভাসমান, অস্থায়ী আগন্তকদের সঠিক পরিচয় নির্ধারণ করে অপরাধী সনাক্তকরণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। সন্ত্রাসীদেরকে চিহ্নিতকরণে কমিউনিটি পুলিশকে সম্পৃক্ত করার জন্য সকল পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আইজিপি।

সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (প্রশাসন) বিনয় কৃষ্ণ বালা গত কোয়ার্টারের (অক্টোবর-ডিসেম্বর/১৫) সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। দেশব্যাপী অপহরণ, খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, নারী ও শিশু পাচার, অস্ত্র উদ্ধার, মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সভায় পর্যালোচনা করা হয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পূর্বের তুলনায় ভাল বলে বলে পরিসংখ্যানে বলা হয়।

সভার শুরুতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (কাউন্টার টেররিজম) মো. মনিরুল ইসলাম ‘সন্ত্রাসবাদের সাম্প্রতিক ধারা এবং বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা’ শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরেন।

সভায় পুলিশ টেলিকম অ্যান্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট এর অতিরিক্ত আইজিপি অমূল্য ভূষণ বড়ুয়া, এসবির অতিরিক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ’র রেক্টর ফাতেমা বেগম, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, এপিবিএন’র অতিরিক্ত আইজিপি মো. সিদ্দিকুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশনস) মো. মোখলেসুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজিপি (ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) মো. আবুল কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.