২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গনহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি সিটি মেয়রের

নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গনবিচার আন্দোলন চট্টগ্রামের উদ্যোগে ২৫ মার্চ ২০১৬ খ্রি. বিকেলে নগরীর জাকির হোসেন রোডস্থ বধ্যভুমি প্রাঙ্গনে ১৯৭১ সনের ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষনার দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্র প্রদর্শনী ও বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালিত হয়। এ কর্মসূচী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ উপলক্ষে বধ্যভুমি প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা জনতার সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার সাহাব উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন। আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, এ কে এম সরোয়ার কামাল দুলু, নাসির উদ্দিন, পান্টু লাল সাহা, সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, এস এম ইলিয়াছ চৌধুরী, ডায়বেটিক সমিতির সাধারন সম্পাদক প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, দেওয়ান মাকসুদ আহমদ, আবদুল জলিল, কাউসার মানিক, সেলিম উল্লা, মোহাম্মদ ইউসুফ, সাংস্কৃতিক সংগঠক অনুপ বিশ্বাস, সাইফুল ইসলাম বাবু, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা পরিষদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন, এ এস এম আকবর, মজিউজ্জামান সিদ্দিকী পাভেল, আবদুল্লা আল মামুন, ইয়াছির আরাফাত, রেবা বড়–য়া, মুদাচ্ছের আলী, মো. ইউসুফ, মাশরুর হোসেন সহ চট্টগ্রাম জেলা মহানগর, উপজেলা ও থানা কমান্ডের বিভিন্ন শ্রেনীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, ছাত্র কমান্ড সহ বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গনহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষনা করতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে চট্টগ্রামে স্মৃতি সৌধ নির্মান না হওয়া বা মহান মুক্তিযুদ্ধের চট্টগ্রামের ১০ টি স্মৃতিচিহ্ন সুরক্ষা না হওয়া দুঃখজনক। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে স্বাধীনতা যুদ্ধের সূতিকাগার চট্টগ্রামে স্মৃতি সৌধ নির্মান সহ প্রস্তাবিত ১০ টি চিহ্নিতস্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ পর্য্যায়ক্রমে নির্মান করা হবে এবং বধ্যভুমি সংস্কার ও সুরক্ষা করা হবে।

মেয়র বলেন, নগরবাসী’র ভোটে প্রাপ্ত দায়িত্বকে পবিত্র আমানত হিসেবে গ্রহণ করে সেবক হিসেবে নাগরিক প্রত্যাশা পুরনে চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিপ্লবতীর্থ চট্টগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য কৃষ্টি ও সভ্যতা সুরক্ষায় সচেষ্ট থাকবো। কারোর প্রতি বৈরিতা নয়, বন্ধুত্ব ও ভালবাসার বন্ধনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করেই নাগরিক সেবা শতভাগ দেয়া হবে। মেয়র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতিচারন করে বলেন, চ্ট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন স্মার্ট সিটিতে উন্নত করার পরিকল্পনা ধীরে ধীরে শতভাগ বাস্তবায়ন সহ জলাবদ্ধতা সহনীয় পয্যায়ে আনা হবে। তিনি তার ভিশন ও প্রত্যাশা বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। মেয়র চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন, মোমবাতি প্রজ্বলন এবং শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে স্বাধীনতা’র শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.