সীতাকুণ্ডে আওয়ামীলীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীরাই জয়ী

কামরুল ইসলাম দুলু  :  কোন বড়ধরনে অঘটন ছাড়াই শেষ হল ইউপি নির্বাচন। আজ ৩১ মার্চ সীতাকুন্ডের ৯টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সব কয়টি ইউনিয়নেই আঃলীগ সমর্থীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছে।বিজয়ী আঃলীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নে মাষ্টার তাজুল ইসলাম নিজামী, ২নং বারৈয়াঢালায় আলহাজ্ব রেহান উদ্দিন রেহান, ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নে জাহেদ হোসেন বাবু, ৫নং বাড়বকুন্ড ইউনিয়নে ছাদাকাত উল্যাহ মিয়াজী, ৬নং বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নে শওকত আলী জাহাঙ্গীর, ৭নং কুমিরা ইউনিয়নে মেরশেদ হোসেন চৌধুরী, ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নে মনির হোসেন, ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়নে নাজিম উদ্দিন, ১০ নং ছলিমপুর ইউনিয়নে আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আজিজ।
ব্যালট পেপার ছিনতাই, বুথ দখল, সংঘর্ষসহ বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে সীতাকুন্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা কারচুপিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সকালেই ভোট বর্জন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী নাজমুল ইসলাম ভুইয়া জানান, দুয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে।
সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নয় ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থীরা ভোট বর্জন করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানান। কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে তারা ভোট বর্জন করেন।
বিএনপি প্রার্থীদের অভিযোগ, বুধবার রাত থেকেই উপজেলার বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অনেকের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে রাত থেকেই ব্যালটে সিল মারা হয়েছে। সকাল থেকে কেন্দ্র দখল করে ভোটারদের প্রবেশ বাধা দেয়া। তারা প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় নির্বাচন বর্জন করে পুনঃতফসীল ঘোষণার মাধ্যমে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।
মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের কাছে দুই মেম্বার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়। এছাড়া কেন্দ্রের বাইরে ৩/৪টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। পুলিশ লাটিচার্জ করে ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনে। এ কেন্দ্রে ২ঘন্টা ভোট গ্রহন বন্ধ ছিল।
মুরাদপুর, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা, ভাটিয়ারী, সলিমপুর ইউনিয়নে বেশ কিছু কেন্দ্রে বুথের ভেতর ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। বল প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যালট পেপারে সিল মারতে দেখা গেছে।
এছাড়া বেশিরভাগ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর প্রতিপক্ষ না থাকায় অনেকটা শান্তিপুর্ণভাবেই নির্বাচন হয়েছে। তবে প্রতিটি ওয়ার্ডে সদস্য পদে আওয়ামী সমর্থীত একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোট কেন্দ্রে আধিপত্য নিয়ে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা, ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ বাধা দিতে গেলে পুলিশের সাথেও তাদের সংঘর্ষ হয় ।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.