হাটহাজারী সকল সরকারী ব্যাংকে গ্রাহকদের হয়রানি

0

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ  লোকবল সংকট আর ব্যাংক কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে হাটহাজারীতে সরকারি ব্যাংকের শাখা সমূহে প্রতিনিয়ত চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের।বেসরকারি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পূর্বে জনগুরুত্বের কথা বিবেচনা করে এলাকার মানুষকে সেবা প্রদান ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য এসব তফসিলী ব্যাংক বিভিন্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠা হলেও ব্যাংক ঋণ নিতে নানামুখী হয়রানির শিকার ও পর্যাপ্ত সেবা না পাওয়ার ফলে এসব ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকরা দিন দিন আস্থা হারাচ্ছে। ফলে এসব ব্যাংকে দিনের পর দিন গ্রাহক সংখ্যা কমার সাথে সাথে রাজস্ব আয়ও কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি বেসরকারী ব্যাংক গুলোতে গ্রাহকদের সংখ্যা দিনের পর দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সূত্র জানায়, উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি সরকারি তফসিলী ব্যাংকের শাখা রয়েছে। এসব শাখার মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ২টি শাখা,জনতা ব্যাংকের ৬টি শাখা ,পূবালী ব্যাংকের ৩টি শাখা,কৃষি ব্যাংকের ৪ টি শাখা,অগ্রণী ব্যাংকের ২ টি শাখা, রূপালী ব্যাংকের ১টি শাখা রয়েছে। এসব ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যক্তি, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক লেনদেন ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান,ইউনিয়নের উন্নয়ন কর্মকান্ডের অর্থ উত্তোলন ,মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধি, বয়স্ক,বিধবা ভাতা, শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।এছাড়া সরকারি বিভিন্ন ভাতা প্রদান ব্যবস্থা ইতিমধ্যে অনেক ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব ব্যাংকের কর্মপরিধি ও কার্যক্রম পূর্বের চেয়ে বহু গুন বেড়ে গেছে। কিন্তু কর্মপরিধি অনুসারে সরকারী এসব ব্যাংকে প্রয়োজনীয় লোকবল নেই। এছাড়া চেক বই সংগ্রহ, ব্যাংক হিসাব খোলাসহ আরো নানা ব্যাংকিং কর্মকান্ডে চরম ভোগান্তি পৌহাতে হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের।

সরজমিনে হাটহাজারী মডেল থানাস্থ জনতা ব্যাংকের শাখা ঘুরে দেখা যায়, লোকবল সংকট, ব্যাংক কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উদাসীনতার ফলে গ্রাহকের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এ সময় মনোয়ারা নামে এক গ্রাহক জানান, গত বুধবার থেকে রবিবার পর্যন্ত তিনি ৩ লক্ষ টাকার চেক নিয়ে ব্যাংকে আসলেও এ মুহূর্তে ব্যাংকে টাকার যোগান না থাকার কারণে এখনো পর্যন্ত তিনি টাকা উত্তোলন করতে পারেন নি। এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা কেন সরকারি ব্যাংকে টাকা জমা রাখব? ব্যাংক আমাদের টাকা আমাদের পরিশোধ করতে পারছে না। অপর দিকে ইকবাল নামে এক গ্রাহক জানান, তিনি গত ২ দিন ঘুরেও তার চেক বই সংগ্রহ করতে পারেন নি।
গ্রাহক হয়রানি বন্ধ ও পর্যাপ্ত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন ভুক্তভোগীমহল।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.