বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থল সীমান্ত চুক্তি

0

এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থল সীমান্ত চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করে তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। তাঁরা বলছেন, এই চুক্তির আওতা অনুযায়ী প্রায় ৭৮ হাজার মানুষের পুনর্বাসনসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলো যথাযথভাবে দ্রুত করতে হবে। এ জন্য দুই দেশকেই যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ বৃহস্পতিবার সম্মিলিত নাগরিক সমাজ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি বিল পাস এবং…’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এই দাবি জানান বক্তারা।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘যে চুক্তিটা হতে যাচ্ছে এটা নিঃসন্দেহে একটা মাইলফলক। এতে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই লাভবান হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবিচল ও সাবলীল নেতৃত্ব না হলে এটা হতো না।’ পাশাপাশি ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, এখন ওই ছিটমহলগুলোর ৭৮ হাজার মানুষ যে দেশে যেতে চায়, সেটা করতে হবে। চুক্তির পর সীমান্তে যৌথ টহলের ব্যবস্থা করার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, এই চুক্তিটা উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক। এটা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ভিত্তি হবে। এই চুক্তির বিল নিয়ে ভারতীয় সংসদে সব দলের ঐকমত্যের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জাতীয় ইস্যুতে যে একমত হওয়া যায়, ভারত সেটা দেখিয়েছে। এ থেকে আমাদেরও শিক্ষা নিতে হবে।’

সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সাধারণ সম্পাদক ম. হামিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কে এম নুরুন্নবী, সাংবাদিক হারুন হাবীব, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সভাপতি এ কে এম হামিদ প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.