“চট্টগ্রামে রেলে উড়ছে টাকা ” চাকরীর রাজ্যৈ ফাঁকা

0

গোলাম সরওয়ার :  ঘুষের রাজ্যৈ যেন পৃথিবী গদ্যময়। টাকা ছাড়া সরকারী দপ্তরে চাকরী পাওয়া কোন উপায় নেই। হোক সে সুইপার বা খালাসী পদ এমন কি স্কুলের দপ্তরী, নৈশ্য প্রহরী, আর্ধালি বা পিওন কোন পদেই টাকা ছাড়া চাকরী হচ্ছে না। স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বে দলের নেতা কর্মীরা ঘুষ বাণিজ্যে সরাসরি হাতিয়ে নেওয়ার পরেই নিয়োগ পত্র নিশ্চিত করা হচ্ছে। আবার কোথাও সিবিএ, ননসিবিএ নেতা, পাতিনেতা, আমলা, সরকারী দলের নেতারা ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাগন নিয়োগ বানিজ্যের টাকা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। বিধি মোতাবেক আবেদন- নিবেদন, লিখিত পরিক্ষা, মৌখিক পরিক্ষা, যাচাই বাচাই ও মেধার কোন পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না। কে আগে টাকা পরিশোধ করেছে তার ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে নিয়োগ পত্রের তালিকা। এক্ষেত্রে এক জেলার প্রার্থী অন্য জেলার নিছক ইউপি চ্যেয়ারম্যান পরিষদ সার্টিফিকেট দাখিল করে চাকরি প্রার্থী হচ্ছেন, টাকায় জোরে পেয়ে যাচ্ছেন চাকারি আবার এইসব ক্ষেত্রে বাকি রাখার কোন বিধান নেই। নগদ নারায়ন দিতে হবে। এই দিকে এগিয়ে আছে রেলওয়ে। রেলওয়ে অভিযোগের কোন শেষে নেই। রেলওয়ে অনেকের দূর্নিতিসহ, অনিয়ম, লুটপাটসহ, নানা ধরনের অপকর্মের কারণের রেলওয়ে অতিতের সব জৌলুস হারিয়েছে। এখন অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এমন অভিযোগ পূরোনো হলেও এর থেকে বের হতে পারেনি রেলওয়ে। যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর উদ্দেশ্য রেল ভ্রমণ ভাড়া বাড়ানো হলেও কাঙ্কিত সেবার মান বাড়েনি। গনমাধ্যম কিংবা প্রচার মাধ্যমে এইসব সংবাদ ফলাউ করে প্রকাশ করা হয়েছে। কে শুনে কার কথা। চলছে অভিরাম গতিতে ঘুষের বানিজ্যে। দীর্ঘ বিরিতির পর পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে ১৪৪১ জন খালাসী পদে নিয়োগে এখন পক্রিয়াদিন রয়েছে কিন্তু নিয়োগের আগে রেলওয়ে কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারী ও রেল শ্রমিক লীগ কর্মীদের একটি সিন্ডিকেট এর বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যে অভিযোগ ওঠেছে। তারা লাখ লাখ টাকা আদায় করছে। অন্যদিকে সরকার দলীয় নেতাদের কেউ কেউ নিয়োগ কমিটির উপর চাপ প্রয়োগ করে পোষ্য কোটা ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা চাকরি বাগিয়ে নিচ্ছে। দুই থেকে তিন লাখ টাকা আদায় করছে এই সিন্ডীকেট। রেলের এই ঘুষ বানিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.