সৌদি আরবে গমনেচ্ছু নারী গৃহকর্মী নির্বাচনে ‘চাকরি মেলার’ আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস।রোববার সকালে নগরীর আগ্রাবাদে সরকারি কার্যভবন-২ প্রাঙ্গণে তিনদিন ব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী।তাদের জনশক্তিতে রুপান্তরিত করতে পারলে দেশের অর্থনীতির ভিত অনেক শক্তিশালী হবে।
জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মো. জহিরুল আলম মজুমদার জানান, চট্টগ্রামে তিনদিন নিবন্ধন চলবে।সরকার গৃহকর্মীদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে।
সরকার অনুমোদিত চারটি রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স আল তামীম ওভারসীজ, মেসার্স আল সাফি ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স সোমা ওভারসীজ ও মেসার্স ইউনাইটেড এক্সপোর্ট লিমিটেড’র মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে বলে জানান জহির।
জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব মোট ত্রিশ হাজার নারী কর্মী চেয়েছে। তার মধ্যে ঈদের আগে ২০ হাজার ও ঈদের পরে বাকি ১০ হাজার নারী কর্মী চেয়েছে।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, বিনা খরচে নারী গৃহকর্মীরা সৌদি আরব যাবেন। কর্মীরা শুধু পাসপোর্ট ও নিবন্ধনের খরচ দেবেন। ভিসা খরচ (লেভি), মেডিকেল ফি ও বিমান ভাড়া বাবদ বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে কর্মীপ্রতি এক হাজার ডলার দেবে সৌদি নিয়োগকারীরা। কর্মীদের মাসিক বেতন হবে ৮০০ রিয়ালের সমপরিমাণ ১৬ হাজার টাকা।
উদ্বোধনীতে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মহেন্দ্র চাকমা, বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিএম শরিফুল ইসলাম, আল-শাফী ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী আবুল কাশেম, মেসার্স আল-তামিম ওভারসীজের সত্ত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান ও ইউনাইটেড এক্সপোর্ট লিমিটেডের এস এম রফিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।