জয়পুরহাটে চেয়ারম্যান হত্যার দুই আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

জয়পুরহাট প্রতিনিধি : জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান একে আজাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও তার সহযোগী পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সোহেল হোসেন (২৫), মুনির হোসেনের (২৮)।

আজ (১৪ জুন) মঙ্গলবার ভোর রাতে সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে বলে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) অশোক কুমার পালের ভাষ্য। তাদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান আজাদ হত্যা ছাড়াও ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে সহকারী পুলিশ সুপার জানান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত সদর উপজেলার ভাদসা ইউপির চেয়ারম্যান এ কে আজাদের বাড়িতে হামলা করতে একদল সন্ত্রাসী গোপালপুর গ্রামের মাঠে জড়ো হচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশের একটি টহল দল সেখানে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের টহল দলের দিকে গুলি ছুড়লে আত্মরক্ষার জন্য পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে দুই সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেনসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

গত ৪ জুন রাতে সদর উপজেলার দুর্গাদহ বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে কোঁচকুঁড়ি গ্রামে বাড়ি ফেরার পথে একদল মুখোশধারী ভাদসা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে আজাদকে কুপিয়ে ও গুলি করে আহত করে। আট দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান আজাদ।

আজাদ হামলার শিকার হওয়ার পরদিন তার ছোট ভাই এনামুল হক ছয়জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা করেন। সোহেল ও মুনির দুজনই ওই মামলায় আসামি বলে থানা পুলিশের তথ্য।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.