২৫ বছরেও মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব

কুমিল্লা প্রতিনিধি : সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্ত প্রতিবেদনেও মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। এতে করে বিভিন্ন মহলে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের অভিজ্ঞ চিকিত্সকরাও এ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। এদিকে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা ঘটনার পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে পুলিশকে অধিকতর তদন্তের পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া মৃত্যুর আগে ধর্ষণ নয় তার সঙ্গে সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সাবেক পরামর্শক ও বর্তমানে ভারত, নেপাল, দক্ষিণ কোরিয়া ও সুদানের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত এবং ইন্দো প্যাসিফিক এসোসিয়েশন অব ল মেডিসিন এন্ড সায়েন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, যদি শরীরের কোনো অংশে, বিশেষ করে হাড়ে কোনো ইনজুরি থাকে তাহলে তৃতীয় দফা ময়না তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। মৃত্যুর ২৫ বছরের মধ্যে ময়না তদন্ত করলেও মৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করা সম্ভব। তবে অন্য কোনো ইনজুরির ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়।

এছাড়া গলিত লাশের সেল পচে যায় বলে ডিএনএ পরীক্ষা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের নিয়ম হলো প্রথমে লাশের দেহ থেকে সংগৃহীত কাপড় শুকিয়ে নিতে হবে। পরে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। তবে তনুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথম দফা ময়না তদন্তের ক্ষেত্রে এসব সম্ভব ছিল। দ্বিতীয় ধাপে এসব সম্ভব ছিল না বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.