কেপিসিবি এর একটি প্রভাবশালী রিপোর্ট প্রথম বের হয় ১৯৯৫ সালে। তখন নেটস্কেপের বিষয় ছিল না। কম্পানি এবং তাদের আইপিও এর বিষয় ছিল অজানা। কিন্তু এখন গুগল রয়েছে। আরো কিছু প্রতিষ্ঠান বিশ্বের ২.৮ বিলিয়ন মানুষকে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এই সংখ্যা ১৯৯৫ সালে ছিল মাত্র ৩৫ মিলিয়ন। মর্গান স্ট্যানলি এর সাবেক বিশ্লেষক ম্যারি মিকার এর ২০তম বার্ষিক প্রতিবেদনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছে কেপিসিবি।
আধুনিককালে ইন্টারনেটের যাবতীয় বিষয় প্রবেশ করেছে মোবাইলে। একের পর এক সোশাল মিডিয়া, মেসেজ প্লাটফর্ম ইত্যাদি ঝেঁকে বসেছে ইন্টারনেটের দুনিয়ায়।
আন্তঃযোগাযোগ এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ক্রেতার চাহিদাও বদলে গেছে। বিশেষ করে চাইনিজ ইন্টারনেট ফার্মগুলো উদ্ভাবনী দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দেশে স্থান করে নিয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রেও এসেছে পরিবর্তন। এক পলক দেখে নেওয়া যাক এখানে।
প্রতিষ্ঠান :
১৯৯৫ সালে ইন্টারনেট দুনিয়ার তারকা ছিল এমন প্রতিষ্ঠান যার নামও হয়তো শোনেননি। যেমন- পিএসআইনেট, রেন্টপাথ, আইলাইভ, এক্সেল স্প্রিঞ্জার এবং নেটকম অন-লাইন এর মতো প্রতিষ্ঠান। তখন মোট ১৫টি পাবলিক ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানের মোট মূল্য ছিল ১৬.৮ বিলিয়ন ডলার।
২০১৫ সালে অ্যাপল, গুগল, আলিবাবা, ফেসবুক, আমাজন, টেনসেন্ট এবং বাইদু এর মতো মোট ১৫টি পাবলিক কম্পানির মূল্য ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
ইন্টারনেট ব্যবহরকারী :
১৯৯৫ সালে ৩৫ মিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন। এটি ছিল মোট জনসংখ্যার ০.৬ শতাংশ।
২০১৪ সালে এ ব্যবহারকারীর সংখ্যা হয়েছে ২.৮ বিলিয়ন। যা মোট জনসংখ্যার ৩৯ শতাংশ।
মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী :
১৯৯৫ সালে ৮০ মিলিয়ন মানুষ মোবাইল ব্যবহার করতেন।
২০১৪ সালে ৫.২ বিলিয়ন মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী রয়েছেন।
ইন্টারনেটে সময় ব্যয় :
২০১০ সালে ৫ শতাংশ সময় ব্যয় হয় ইন্টারনেটের পেছনে।
২০১৫ সালে মোবাইল ব্যবহারকারীরা ২৯ শতাংশ সময় ব্যয় করেন মোবাইলে।
অন্যান্য ইন্টারনেট ট্রেন্ড এবং কম্পানি :
২০১৫ সালে ইন্টারনেট মেসেজিংয়ের ক্ষেত্রে সেরা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইন্সটাগ্রাম, লাইন (জাপান), কাকাওটক (কোরিয়া) এবং স্ন্যাপচ্যাট। ইন্সটাগ্রাম বা স্ন্যাপচ্যাটের তুলনায় পুরনো চেহারা নিয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে ফেসবুক বা টুইটার।