ঢাকা : গুলশানের আর্টিসান হোটেলের জঙ্গি হামলার ঘটনায় উদ্ধারকৃতদের মধ্যে দু’তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। আজ (২১ জুলাই) বৃহস্পতিবার ডিএমপি হেড কোয়ার্টার্সে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সুস্পষ্টভাবে মন্তব্য করার সময় হয়নি। আমরা দু-একজনকে সন্দেহ করছি। তাদের সংশ্লিষ্টতা আদৌ আছে নাকি তারা পরিস্থিতির শিকার হয়ে জঙ্গিদের মদদ দিয়েছে- এ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান কমিশনার। সম্প্রতি পুলিশ জানিয়েছিল, গুলশান থেকে জীবিত উদ্ধার কেউ পুলিশের কাছে আটক নেই।
কমিশনার বলেন, মামলাটি বর্তমানে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিট তদন্ত করছে। তদন্তাধীন মামলায় কিছু কিছু তথ্য থাকে, যা প্রকাশ করলে মামলার তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা সাসপেক্টরা পালিয়ে যায়। আমরা গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করেছি। তিনটি আস্তানা পেয়েছি। এক কথায় বলতে পারি তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, একটা হামলার কতগুলো পর্যায় থাকে। প্রথম পর্যায় হল তাদের একত্রিত করা। দ্বিতীয় পর্যায় হল তাদের মগজ ধোলাই বা ব্রেন ওয়াশ করা। পরে তাদের ইকুইপমেন্ট দেওয়া বা প্রশিক্ষণ দেওয়া। এরপর তাদের আশ্রয় দেওয়া এবং সরঞ্জামাদির সাপ্লাই দেওয়া। এরপরই অ্যাটাক। গুলশানের অ্যাটাকে ছিল ছয়জন। তারা ‘ইন অ্যাকশনে’ মারা গেছে। কিন্তু যারা রিক্রুটমেন্টের সঙ্গে জড়িত, প্রশিক্ষণের সঙ্গে জড়িত, অর্থ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত, আশ্রয় দেওয়ার সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আমরা চারজন সন্দেহভাজনের ছবিসহ নাম প্রকাশ করেছি। এছাড়া বাসা ভাড়া দেওয়ায় সাহায্য করেছিলো তাদের ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছি।
Comments are closed.