সারচার্জমুক্ত সম্পদ ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা

0

সিটিনিউজবিডি : দুই কোটি টাকার নীট সম্পদের ওপর যে সারচার্জ প্রযোজ্য রয়েছে যা আগামী অর্থ বছরে বৃদ্ধি করে দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা করা হবে। এনবিআরের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আসন্ন ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে সম্পদ কর বা সারচার্জ আরোপের নীট সম্পদের পরিসর বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে দুই কোটি বা তার বেশী নীট সম্পদের উপর মানুষ ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ সারচার্জ বা সম্পদ-কর দেয়।

যা আগামী ৪ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করবেন।

এ বিষয়ে এনবিআর সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী মহলের দাবির মুখেই সরকার সম্পদের ওপর প্রযোজ্য সারচার্জের আওতা বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে সরকার।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র জানায়, সারচার্জ বা সম্পদ-কর হচ্ছে এক ধরনের মাসুল। ব্যক্তির সম্পদের ভিত্তিমূল্যের ওপর এ মাসুল আদায় করা হয়।

পাকিস্তান শাসনামলে ১৯৬৩ সালে সম্পদ কর (ওয়েলথ ট্যাক্স) চালু করা হয়। স্বাধীনতার পরও তা অব্যাহত রাখা হয়।
আইনপ্রণেতা ও সম্পদশালীদের চাপে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পরে ২০১১-১২ অর্থবছরে সম্পদের ওপর সারচার্জ (জরিমানা) চালু করা হয়। চারটি স্তরে এ সারচার্জ আরোপ করা হয়।

এর মধ্যে ২ কোটি টাকার বেশি কিন্তু ১০ কোটি টাকার কম সম্পদে নির্ধারিত করের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ। ১০ কোটি টাকার বেশি তবে ২০ কোটি টাকার কম সম্পদে ১৫ শতাংশ, ২০ কোটি টাকার বেশি তবে ৩০ কোটি টাকার কম সম্পদে ২০ শতাংশ। ৩০ কোটি টাকার বেশি সম্পদে ২৫ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা হয়।

তবে সীমাবদ্ধতার কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে কর আদায় করতে পারেনি এনবিআর। এনবিআর`র হিসেবে দেখা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আয়কর রিটার্নে জমি, ফ্ল্যাট ও প্লটে ২ কোটি টাকার ওপরে মূল্য দেখিয়ে ১০ হাজার ১৫২ করদাতা সারচার্জ দিয়েছেন ২০৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ দেশে দু` কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে ১০ হাজার ১৫২ ব্যক্তির। যদিও এ সংখ্যা কয়েক শত গুণ বেশি হওয়ার কথা।এনবিআর`র সীমাবদ্ধতার কারণে তা শনাক্ত করতে পারেনি।

২০১২-১৩ অর্থবছরে ৪ হাজার ৪৪৬ জনের কাছে থেকে ৬০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৫ হাজার ৬৬২ জনের কাছ থেকে ৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা সারচার্জ আদায় করা সম্ভব হয়েছিল বলে এনবিআর সূত্রে জানা যায়।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা সংস্থা নাইট ফ্রাংক`র দ্য ওয়েলথ রিপোর্ট-২০১৫ অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২৫০ কোটি টাকার ওপরে নিট সম্পদ রয়েছে ৭৮ জনের। ২০০৪ সালে এ সংখ্যা ৩৮ জন হলেও ২০১৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ জনে। যদিও এনবিআর`র কাছে এর কোনো প্রামাণ্য হিসেবে নেই এবং আদায় হয়নি কাক্ষিত সারচার্জ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.