গোলাম সরওয়ার : চট্টগ্রাম মহানগরীর ২৭, ৩৬,৩৭ ও ৩৮ নং ওয়ার্ডে বছরের ছয়মাস সকাল বিকাল জোয়ারের পানিতে ভাসছে মানুষের বাড়ীঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, রাস্তা ঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করার পর বৃষ্টিপাত একঘন্টা হলেই কোথাও কোমরপানি ও কোথাও হাটুপানি জমে যায়। মহেষখালে অস্থায়ী বাঁধ থাকায় পানি দ্রুত নামতে পারেনা। জোয়ারের পানি লোকালয়ে দুপুরে থাকতেই রাতে আবার এসে পড়ে।
এতে করে পানি বৃদ্ধিতে এক্সেস রোড ও সিডিএ আবাসিক এলাকায় যাতায়ত কোন ভাবেই সম্ভব হয়ে উঠেনা। মহেষখালের মুখে স্থায়ী সুইচগেইট নির্মাণের কাজ বন্দর কর্তৃপক্ষ উদ্যেগ নেওয়ার কথা থাকলেও হচ্ছে বিলম্ব। যার কারণে আতংকত প্রায় ৪ ওয়ার্ডের লক্ষ লক্ষ মানুষ। আগ্রাবাদ বানিজ্যিক এলাকাও জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। বৃষ্টিতে এসব এলাকার মানুষের দূর্গতি ও কষ্ট বেড়ে যায়। মহানগরীর এই গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড, হালিশহর, আগ্রাবাদ, এক্সেস রোড, ছোটপুল, সিডিএ আবাসিক এলাকাসহ মধ্যম হালিশহরের বিস্তীন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
সামান্য বৃষ্টিপাতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসমূহ বছরের পর বছর জলমগ্ন থাকলেও কোন বিহিত ব্যবস্থা নিতে ব্যার্থ হচ্ছে প্রশাসন। যাতে করে মানুষের সম্পদ ও জীবন যাপন দূভোর্গ ও দূর্গতিতে পরিনত হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ এব্যাপারে বন্দরকে সুইচ গেইট নির্মানের অনুরোধ করলে বন্দর কর্তৃপক্ষ সুইচ গেইট নির্মানের কথা ঘোষনা করলেও বাস্তবে এখনও কোন কর্মকান্ড দৃশ্যমান হচ্ছে না।