চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নেই ২ বছর

0

গোলাম সরওয়ার : চট্টগ্রাম মহানগর, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, ছাত্রলীগের কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত না থাকা অনেকেই এখন নিজেদের দক্ষিণ জেলা বা উত্তর জেলা, কখনও মহানগর ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের দুই বছর ধরে কমিটি না থাকায় গুরুত্বপুর্ন এই ইউনিটের সবাই স্বঘোষিত নেতা!। দক্ষিন জেলার সাত উপজেলায় সর্বত্রই জেলা ছাত্রলীগ নেতার ছড়াছড়ি।

অনেকের বিরুদ্ধে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়ে প্রশাসনে চাপ সৃষ্টি, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির সাথে যুক্ত হওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ভেঙ্গে পড়েছে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী এই ছাত্র সংগঠনের চেইন অব কমান্ড। যে কারনে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবী জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা।

শীর্ষ নেতারা বলছেন,’কমিটি গঠনের বিষয়ে আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা কমিটি ঘোষনা করব। জেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন সাবেক নেতা জানান,’বিগত দুই বছর ধরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নেই। কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ইচ্ছা অনিচ্ছা নিজেদের মধ্যে দলাদলি গ্রুপিং এর কারনে কমিটি গঠন থেকে বিরত রয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তা সত্ত্বেও অতি উৎসাহী নেতারা যত্রতত্রভাবে ছাত্রলীগের এই ইউনিটকে ব্যবহার করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পরিচয় হিসেবে তুলে ধরেছেন জেলা ছাত্রলীগের নেতা। দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি গঠন হয়েছিল ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল। ৬ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠনের পর থেকে নিজেরাই অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে।

প্রতিষ্টাবাষির্কী পালন করতে গিয়ে নিজ দলের কর্মীদের হাতে খুন হন দক্ষিন জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবদুল মালেক জনি। এ ঘটনায় বহিস্কার হন ৪ নেতা। বহিস্কৃত এই চার নেতাকে আসামী করা হয় এই ছাত্রনেতা হত্যা মামলায়। দীর্ঘদিন হতে চললেও ছাত্রনেতা আবদুল মালেক জনি হত্যা মামলারও কোন কুল কিনারা হয়নি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। অপর দিকে, ছাত্রনেতা জনি হত্যা মামলার আসামীদের অনুসারীরাই এখন সভাপতি-সম্পাদক হতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। এভাবে চলছে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ।

সাবেক আহবায়ক সালাউদ্দিন সাকিব দীর্ঘদিন দায়িত্বও পালন করেন। অন্যদিকে মহানগর ও উত্তর জেলা ছাত্রলীগের অবস্থাও ভাল নয়। ওয়ার্ডের সাধারন একজন কর্মীও এখন অনেক বড় নেতা। এ ছাড়া মহানগরীতে ছাত্রলীগের একটি অংশ নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী ও অপর একটি অংশ মেয়র আ.জ.ম নাছির এর অনুসারী। এরা পৃথকভাবে পালন করছেন সকল দলীয় কর্মসুচী। এই গ্রুপিং পলিটিক্সিও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক ভিতকে নড়বড়ে করে রেখেছে।

সরকারী দলের মুল সংগঠনের অঙ্গ সংগঠনগুলোর অবস্থা নাজুক। দল ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকে দলীয় কর্মকান্ড ঝিমিয়ে পড়েছে। তেমনিভাবে হাইব্রীড়দের উপদ্রবও বাড়ছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.