সিটিনিউজবিডি : ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ‘মিথ্যা’ প্রতিবেদন দিয়ে মানহানির অভিযোগে এ সি এম পি চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার এজাহারে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন, নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (পাঁচলাইশ) দীপক জ্যোতি খীসা, বায়েজিদ থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন, এসআই মোহাম্মদ কামাল হোসেন খান ও কনস্টেবল মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। দুর্নীতি দমন আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়।
চার পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করলেন এক মহিলা। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. শাহে নূরের আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলা দায়েরকারী ওই মহিলার নাম রেজিয়া বেগম।
বাদী রেজিয়া বেগমের আইনজীবী সৈয়দ জহির হোসেন জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন। জানা গেছে, নগরীর বায়েজিদ থানার সুলতানী মঞ্জিল মার্কেটে মামলার বাদি রেজিয়া বেগমের ‘জিনাত হকার্স ট্রেডার্স’ নামের একটি দোকান আছে। মামলার বাদি রেজিয়া বেগমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বায়েজিদ এলাকার রফিকুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, মোজাম্মেল হোসেন, ওহিদুল আলম, হাসান উল্লাহ, রেজাউল করিম ও দিদারুল আলম বাদীর দোকানে গিয়ে চাঁদা দাবি করত। দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি বাহিনীর নামে রশিদ ছেপে তারা এলাকায় চাঁদা তুলত। রেজিয়া জানান, ২০১৪ সালে আমি চাঁদা দিতে আপত্তি জানাই। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও করি। এরপর থেকে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়া হয়।
আইনজীবী সৈয়দ জহির হোসেন বলেন, রেজিয়া বেগম চাঁদাবাজির অভিযোগ করায় তার বিরুদ্ধে ২৫টি মামলা করা হয়। রেজিয়াও কয়েকটি পাল্টা মামলা করেন। চাঁদা আদায়কারীরাই গত বছর নগর পুলিশের উপ-কমিশনারের (উত্তর) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করে। সেটি তদন্তে সহকারী কমিশনারকে (পাঁচলাইশ) নির্দেশ দেয়া হয়।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (পাঁচলাইশ) ও অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা প্রায় সাত মাস বিলম্বে ওই অভিযোগের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেন।
আইনজীবী সৈয়দ জহির হোসেন বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে সময় ক্ষেপণ করা হয়। এরপর রেজিয়া বেগমের বিরুদ্ধেই প্রতিবেদন দেয়া হয়। ওই প্রতিবেদনে রেজিয়া বেগমকে মামলাবাজ উল্লেখ করে মানহানিকর বিভিন্ন মন্তব্য করা হয়।
এ মামলার এজাহারে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ সদস্যরা চাঁদা দাবিকারী সাত ব্যক্তির যোগসাজশে ‘দুর্নীতির’ মাধ্যমে এই ‘মিথ্যা প্রতিবেদন’ দেয় বলে দাবি আইনজীবী সৈয়দ জহির হোসেনের।
রেজিয়া বেগম বলেন, চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় আমি দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিত। ওই সাতজনের কেউ বাদী আর অন্যরা সাক্ষী সেজে একের পর এক মামলা করেছে। আমার বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলা আদালতে খারিজও হয়েছে। অন্য মামলাগুলোও একইভাবে খারিজ হবে বলে আমার বিশ্বাস।