ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : লাগাতার আন্দোলনের পঞ্চম দিন নাজিরহাট কলেজ সরকারী করণ দাবী আদায়ের আন্দোলনে প্রাক্তন ছাত্রদের সমর্থনে আবু তৈয়বের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়েছিল । নাজিরহাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজকে জাতীয়করণের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল ছাত্র- ছাত্রীরা। কর্মসূচিতে নাজিরহাট কলেজের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও স্থানীয় জনগণ অংশগ্রহন করে। গত ৩ আগস্ট বুধবার সকালে সর্বদলীয় ছাত্র ছাত্রী ঐক্য পরিষদের তত্ত্বাবধানে আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ আন্দেলনে নামেন।
এসময় চট্টগাম-খাগড়াছড়ি সড়কের নতুন রাস্তার মাথায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কের দু’পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন হাজারো যাত্রী। বিক্ষোভ সমাবেশে আন্দোলকারীরা বলেন, জাতীয়করণ তালিকায় নাজিরহাট কলেজের নাম ছিল। ষড়যন্ত্রকারীদের কালো থাবায় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছে নাজিরহাট কলেজ। কলেজ পরিচালনা কমিটি সজাগ থাকলে এমনটি হতোনা। তাদের (পরিচালনা কমিটি) গাফিলতির কারণে আজ শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন করে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাস্তায় নামতে হয়েছে। নাজিরহাট কলেজ সরকারিকরণের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন কারীদের আন্দোলন কঠোর থেকে কঠোরতম হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
গত বুধবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সর্বদলীয় ছাত্র ছাত্রী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কলেজের সাবেক ছাত্র আওয়ামীলীগ নেতা এইচ. এম আবু তৈয়বের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নাজিরহাটের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন রাস্তার মাথায় এসে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে মানববন্ধনসহ মিছিল-সমাবেশ করতে থাকে।
নাজিরহাট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী সর্বদলীয় ছাত্র ছাত্রী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক মুহাম্মদ মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা এইচ এম আবু তৈয়ব, আওয়ামীলীগ নেতা এম শওকতুল আলম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মিন্টু, ইসমাঈল হোসেন, এম গিয়াস উদ্দিন, আবু বক্কর, তারেখ মুনিরুল ইসলাম টিুটু, মুহাম্মদ ফাহীম উদ্দিন ডিউক, দিদারুল আলম, নাছির উদ্দিন, আমান উল্লাহ, মুহাম্মদ সাকিব, এম এ রহিম, আরাফাত হোসেন, আরিফুর রহমান, রহমত উল্লাহ চৌধুরী, এনামুল হক, জেসমিন আকতার ও আরমান আহমেদ প্রমুখ।
নাজিরহাট কলেজ অধ্যক্ষ এম নুরুল হুদা বলেন, নাজিরহাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সরকারিকরণের ব্যাপারে কলেজ পরিচালনা কমিটি যথেষ্ট আন্তরিক। এ ব্যাপারে কেউ যদি পরিচালনা কমিটিকে দোষারোপ করেন, তা হবে দুঃখজনক। তিনি নিজেও সরকারিকরণের ব্যাপারে কয়েকবার ঢাকায় গেছেন। তিনি দৃপ্ত কন্ঠে নাজিরহাট কলেজ সরকারিকরণের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।