মোঃ সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট’র প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকী (রহ:) হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে দেশব্যাপি জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এবং পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা, ছাত্রসেনা রাঙামাটি জেলা শাখা।
গতকাল শনিবার বিকালে বনরুপা বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট’র জেলা কার্যালয় থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রির্জাভ বাজার চৌমহনী মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম আলকাদেরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুস্তফা হেজাজী, জেলা যুবসেনার সভাপতি আলী খাঁন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন রানা সোহেল, অর্থ সম্পাদক মোঃ মনছুর আলী, জেলা ছাত্রসেনার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ তারেক আজিজ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাতে সুন্নি জনতার নয়নের মনি বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ শায়েখ নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যা করা হয়। আজ দুইটা বছর পার হওয়ার পরেও সে হত্যার বিচার এখনো হয় নি। সরকারকে সে সময়ে সকল সুন্নি ওলামাকেরামগণ বলেছিলো এই হত্যার মাধ্যমে মনে হচ্ছে সুন্নি ধ্বংস করার জন্য এক প্রকার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেখা যাবে সামনে সুন্নিকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটানো হবে। সে সময়ে সরকার এই কথা নাকে না নেওয়ায় আজ সরকার নিজেরাই বুঝতে পারচ্ছে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ড শুরু হয়েছে কি না। গত কাল ফটিকছড়ি নানুপুর ফারুকী হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত সভায় যোগ দেওয়া জন্য সুন্নি সমর্থকরা বের হলে তাদের উপরে কওমীরা আক্রমণ চালাই। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় কারা ফারুকীকে হত্যা করেছে এবং কারা দেশে বর্তমানে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদি কর্মকান্ড ঘটাচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, কারবালার ময়দানে ইমাম হোসাঈনকে শহিদ করে ইয়াজিদরা চেষ্টা করেছিলো ইসলামকে ধ্বংস করতে ঠিক তেমনি ভাবে দেখা যায় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বৃদ্ধিজীবিদেরকে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদাররা চেষ্টা করেছিলো বাংলাদেশের মেরুদন্ড নষ্ট করে দিতে। ঠিক তেমনি ভাবে ২০১৪ সালে সেই ইয়াজিদের বংশদররা মনে করেছে ফারুকীকে হত্যা করলে সুন্নিরা অসহায় হয়ে যাবে আর তাদের মন গড়া সেই নিয়ম-নীতি সাধারণ মুসলমানরা মানবে তবেই তাদের ব্যবসা ভালো হবে।
পার্বত্য এলাকার ভূমি কমশিন আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে বক্তরা বলেন, পার্বত্য এলাকা বাংলাদেশের ভূখন্ডের মধ্যে একটি স্থান। যদি তাই হয়ে থাকে তবে এটার জন্য আলাদা ভূমি কমিশন আইন তৈরি হবে কেনো? এই কমিশন এর দ্বারা পার্বত্য এলাকার বসবাসরত বাঙ্গালিদের অধিকার ক্ষুন্ন হবে তাই অভিলম্বে এই আইন বাতিলের দাবি জানান বক্তারা।