চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শোক র্যালী
সিটিনিউজবিডি : চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের কারণে জনগণের মধ্যে স্বস্তি এসেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে বাংলাদেশে দেশত্ববোধের রাজনীতি সুসংহত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। শেখ হাসিনা না হলে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হতো না। দেশদ্রোহী জঙ্গীদের নির্মূল করে বাংলাদেশকে নিরাপদ করতে হবে। শেখ হাসিনা পারবেন সুশাসন দিতে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা মানে বাংলাদেশকে শক্তিশালী করা।
.প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার কর্মী। মুখে আমরা যা বলবো কাজে তা করে দেখাব। বঙ্গবন্ধুকে যারা স্বপরিবারে হত্যা করেছিল তারা আরেকটি ১৫ আগস্ট সৃষ্টি করতে চায়। তাই আমাদের চোখ কান খোলা রাখতে হবে। শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে রূপকল্প অনুসরণ করেছেন তা বাস্তবায়নে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে থাকার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি নতুন পরিচয় ও মর্যাদা পেয়েছে, একটি মানচিত্র পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে বিশ্বাস করতেন ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড বাংলাদেশকে হত্যা করার অপচেষ্টা ছিল। সংবিধান পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যারা বাঁচাতে চেয়েছিল তারাই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে তখন ঐ খুনীরা ইসলামের লেবাস পরে জঙ্গীবাদী কার্যক্রম চালাচ্ছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকবর্তিকা চেয়ে নিচ্ছে। স্বাধীনতার চেতনার সাথে অনেকেই বেঈমানী করে ইতিহাসের অবস্থাছুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগ মানুষের মনের ভাষা বুঝতে পারে তাই আওয়ামী লীগ বাংলার প্রতি ইঞ্চিমাটিতে তার অবস্থান সুসংহত করতে পেরেছে।
সামশুল হক চৌধুরী এম.পি বলেছেন, তারেক জিয়ার নেতৃত্বে জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছে। জঙ্গীরা ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা করছে। তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধর্ম, দেশ ও স্বাধীনতা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান।
মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এম.পি বলেন, শোকের মাস আগস্টে আমরা বঙ্গবন্ধূকে হারানো শোককে শক্তিতে পরিণত করেছি। শেখ হাসিনা আমাদের আস্থার ঠিকানা শেখ হাসিনাকে শক্তি যোগাতে হবে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের মাসব্যাপী কর্মসূচীর সমাপ্তি দিবসে আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মুখ চত্বরে এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন।
.
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, সামশুল হক চৌধুরী এম. পি, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এম.পি, সাবিহা মুছা এম.পি, ওয়াসেকা আয়েশা খান এম.পি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড: জহির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, আইন সম্পাদক এড: মির্জা কছির উদ্দিন, শ্রম সম্পাদক খোরশেদ আলম, দপ্তর সম্পাদক আলহাজ্ব আবু জাফর, শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন এমরান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ হায়দার শাহীন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার, ধর্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল হান্নান চৌধুরী মঞ্জু, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিজয় কুমার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য নুরুল কাইয়ুম খান, দেবব্রত দাশ, আ ক ম সামশুজ্জামান, ওমর ফারুক চেয়ারম্যান, মোস্তাক আহমদ আঙ্গুর, মাস্টার ফরিদুল আলম, ছিদ্দিক আহমদ বি.কম, আয়ুব আলী, মাহবুবুর রহমান সিবলী, আনোয়ার কামাল, এ কে আজাদ, শাহীদা আক্তার জাহান, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এস এম জহিরুল আলম জাহাঙ্গীর, পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর আলম, সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, বাঁশখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, চন্দনাইশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, লোহাগাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিরু, পৌরমেয়র মাহাবুবুল আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম ছালেহ, দক্ষিণ জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি নুরুল হাকিম, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও পৌরমেয়র মো: জোবায়ের, দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা হারুন লুবনা, ববিতা বড়ুয়া, দিপীকা বড়ুয়া, রেহেনা ফেরদৌস, তামান্না সুলতানা, জান্নাতুল ফেরদৌস, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজিন দাশ রাহুল, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা এস এম বোরহান উদ্দিন, রাশেদুল আরেফিন জিসান, মিজানুর রহমান, শেখ মো: মহিউদ্দিন, এস এম কাজেম, খোরশেদ আলম ইমতিয়াজ, তানভীর চৌধুরী, মোর্শেদুল আলম সিকদার, মঞ্জুরুল আলম, তারেকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
.
সমাবেশ শেষে এক বিশাল শোক র্যালী নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রীমা কনভেনশন হলে এসে শেষ হয় এবং দুপুর ১টায় বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগস্টে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া এবং মেজবান অনুষ্ঠিত হয়।