সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং মাদকাসক্ত থেকে তরুণ প্রজন্মকে ফেরাতে খেলাধূলা বড় ভূমিকা রাখতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

0

সিটিনিউজবিডি : ক্রিকেটে বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ জিতবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণের এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

অনুষ্ঠানে ৩২ জনকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধান অতিথির বক্ততায় তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেটে রয়েল বেঙ্গল টাইগার আজ অনেক পরিচিত। সবাই এখন আমাদের অনেক হিসাব করে চলে। এটা বজায় থাকলে ক্রিকেটে বাংলাদেশও একদিন বিশ্বকাপ জিতবে।’

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এবং মাদকাসক্ত থেকে তরুণ প্রজন্মকে ফেরাতে খেলাধূলা বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি জানান, তরুণ প্রজন্মের মনন গঠন ও সুস্থ মানসিকতা বিকাশে তার সরকার খেলাধূলার উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ক্রিকেট, ফুটবলসহ দেশীয় খেলাধূলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে।

এ সময় অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফুটবলে মেয়েরাই সুনাম বয়ে এনেছে। বড় হয়ে এরা আরও সুনাম বয়ে আনবে।

এ সময় তিনি বেশ মজা করে বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা যা পারছে, ছেলেরা তা পারছে না। মেয়েরা ১০ গোল দিয়ে আর ছেলেরা ৫টা খেয়ে আসে।’

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ছেলেরাও পারবে না তা নয়। আমার বিশ্বাস একদিন তারাও ফুটবলে আমাদের মুখ উজ্জল করবে।

খেলাধূলায় প্রশিক্ষণ সবচেয়ে জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবন্ধীরা সন্তানরাও খেলায় ভালো করছে। তাদের অনুশীলনের জন্য জায়গায় করে দিচ্ছি। প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা কমপ্লেক্স করে দিচ্ছি। আমরা দেখছি যারা অন্ধ তারাও ট্রফি নিয়ে আসে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন বিকেএসপিতে কেবল সাপই দেখা যেতো। সেখানে আমরা উন্নয়ন করে খেলাধূলার উপযোগী করেছি। এখন প্রত্যেক বিভাগে বিকেএসপির শাখা করছি।

তিনি বলেন, খেলাধূলা করলে আমাদের সন্তানরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে, সুস্থ চিন্তা করতে শিখবে। এজন্য প্রত্যেক জেলায় স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ঢাকায় আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন স্টেডিয়াম দরকার। পূর্বাচলে সেটা করা হবে। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করা হবে। এমনভাবে তৈরি করা হবে, যেন রাস্তা দিয়ে যেতেই মানুষজন খেলা দেখতে পারে। এভাবেই যেন সবাই উৎসাহ পায়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.