সিটিনিউজবিডি : মহাসড়ক সংলগ্ন ফিলিং স্টেশন থেকে অটোরিকশায় সিএনজি নেওয়ার সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি মহাসড়কে অটোরিকশায় গ্যাস নেওয়ার সময় সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত করার ঘোষণা দেন।
দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় গত বছর সব জাতীয় মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচলে সরকার নিষেধাজ্ঞা দিলে বিক্ষোভে নামেন চালকরা।
বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যেই সরকার প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত মহাসড়ক সংলগ্ন ফিলিং স্টেশন থেকে অটোরিকশার গ্যাস সংগ্রহের সময় বেঁধে দেয়।
চট্টগ্রামের সভায় মন্ত্রী দেশের ২২টি মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, মহাসড়কে এসব ছোট যানগুলোর জন্য দুর্ঘটনা ঘটছে।
মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল ৯০ শতাংশ বন্ধ করা হলেও বাকি ১০ শতাংশ বন্ধ করতে না পারার জন্য রাজনৈতিক মদদকে দায়ি করেন ওবায়দুল কাদের।
দেশে বিভিন্ন ছোট সড়কে কয়েখ লাখ ইজি বাইক চলাচল করে জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত ইজি বাইক ও রিকশার বিষয়ে হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা আছে। সেগুলো শহরে চলতে দেওয়া হবে না। সেগুলো গ্রামে চলুক, ফিডার রোডে।
তবে তিনি রোগী বহনকারী ও জানাজায় যাওয়ার সময় অটোরিকশাগুলোকে ছাড় দেয়ার নির্দেশ দেন।
সরকার ব্যাটারিচালিত ইজি বাইকের বিকল্প খুঁজছে মন্ত্রী বলেন, ব্যাটারিচালিত যানগুলো বন্ধ করতে হবে। এর বিকল্প কিছু করা যায় কিনা আমরা সেটা দেখছি। এগুলোর বিকল্প খুঁজতে আমরা সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলছি।
সড়কে বেপোরোয়া যান চলাচলকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ি করে মন্ত্রী বলেন, ঈদের পর সড়ক ফাঁকা ছিল। দুইদিনে অনেক প্রাণহানি হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়।
দুর্ঘটনা কমাতে চালকদের কাউন্সিলিং করার জন্য পরিবহন সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।
সড়কের অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয় তুলে ধরে কাদের বলেন, রাস্তা ঠিক রাখতে এক্সেল লোড করা হয়েছে, জরিমানা করা হচ্ছে।
তবে অতিরিক্ত ওজনের জন্য জরিমানা আদায় সচেতনতা বাড়াতেই করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
সভায় পরিবহন মালিকরা চট্টগ্রাম নগরীতে নিবন্ধিত ১৩ হাজার অটোরিকশার মধ্যে ১০ হাজার ৩০০টিতে মিটার লাগানো ও নম্বরবিহীন অটোরিকশায় মিটার সংযোজনের বিষয় তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বাকি অটো রিকশাগুলোর হদিস পাওয়া না গেলে নতুন গাড়ির ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
পাশাপাশি নম্বরবিহীন অটোরিকশায় কিভাবে মিটার সংযোজন করা হয়েছে সে বিষয়ে বিআরটিএ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে যৌথভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে ২১ সেপ্টেম্বর সিএনজি অটোরিকশা মালিক শ্রমিক ও গণ পরিবহন মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে মেয়রকে বৈঠক করারও কথা জানান ওবায়দুল কাদের।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী, এমএ লতিফ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদুল হাসান, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনাসহ জেলা প্রশাসন, বিআরটিএ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।