শ্রদ্ধা-ভালবাসায় সিক্ত সৈয়দ শামসুল হক

0

সিটিনিউজবিডি : কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা ভালবাসা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।

বুধবার বেলা ১১টায় সৈয়দ হকের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। সাড়ে ১১টায় তার মরদেহে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল।

এরপর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ড. আরেফিন সিদ্দিক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমীসহ বিভিন্ন সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে লেখককে শ্রদ্ধা জানান।

দুপুর ১টা ১০ মিনিটে তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে জানাজার পর তাঁকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হবে জন্মস্থান কুড়িগ্রামে। সেখানে সরকারি কলেজ মাঠের পাশে কবির নির্ধারণ করে দেওয়া স্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

এর আগে সকাল ১০টায় তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম জানাজা হয়। চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ থেকে সৈয়দ হকের মরদেহ নেওয়া হয় বাংলা একাডেমিতে। সেখানে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ হক ইন্তেকাল করেন। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

গত ১৫ এপ্রিল ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে তিনি লন্ডনে যান। সেখানে পরীক্ষার পর তার ক্যানসার ধরা পড়ে। গত ১ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার পর তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ শামসুল হক। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প তথা সাহিত্যের সকল শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য তাকে ‘সব্যসাচী লেখক’ বলা হয়ে থাকে। ১৯৬৪ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান সৈয়দ হক। এখন পর্যন্ত বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া সর্বকনিষ্ঠ লেখক তিনি।

১৯৫০-এর দশকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’। পরে ‘খেলারাম খেলে যা’, ‘নিষিদ্ধ লোবান’, ‘সীমানা ছাড়িয়ে’, ‘নীল দংশন’, ‘বারো দিনের জীবন’, ‘তুমি সেই তরবারী’, ‘কয়েকটি মানুষের সোনালী যৌবন’, ‘নির্বাসিতা’ এর মতো বিখ্যাত উপন্যাস উপহার দিয়েছেন।

তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘একদা এক রাজ্যে’, ‘বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা’, ‘পরানের গহীন ভিতর’, ‘অপর পুরুষ’, ‘অগ্নি ও জলের কবিতা’। ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘নূরলদীনের সারা জীবন’ সৈয়দ হকের বিখ্যাত কাব্যনাট্য।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.