মিয়ানমার বাতিল করল ‘কালাকানুন’

0

অনলাইন ডেক্স : বিরোধীদের মুখ বন্ধ রাখার জন্য সাবেক সামরিক নেতাদের দ্বারা জারিকৃত কঠোর একটি আইন বাতিল করা হয়েছে।

বিবিসি বলছে, যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করার পর ১৯৫০ সালে এই জরুরি আইনটি চালু করা হয়েছিল।

এই জরুরি আইনের অধীনে কর্তৃপক্ষ অভিযোগ ছাড়াই কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারতো এবং কারগারে পাঠানো এমন কি বিস্তৃত পরিসরে বিশ্বাসঘাতকতা বিবেচিত হলে মৃত্যুদণ্ডের জন্য সুপারিশ করতে পারতো।

এই আইনের অধীনে জনগণের মূল্যবোধে আঘাত কিংবা ভুয়া খবর ছড়ানোর মতো অপরাধে সর্বোচ্চ সাতবছর কারদণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ ছিল।

চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশটিতে কয়েকদশক ধরে চলা সেনাশাসনের অবসান ঘটিয়ে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমক্র্যাসি (এনএলডি) ক্ষমতায় আসে। এরপর থেকেই এনএলডি এই আইনটি বাতিলের চেষ্টা করছিল।

মিয়ানমারের পার্লামেন্টের বিল বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান তুন তুন হেইন বলেন, সমাজতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র তাদের বিরুদ্ধাচরণের জন্য যেকাউকে গ্রেপ্তার করতে এই আইন ব্যবহার করতো।

কিন্তু এখন আমরা সেটি বিলুপ্ত করেছি কারণ আমরা জনগণের সরকার। বলেন তিনি।

তবে দেশটির পার্লামেন্টে এখনো সেনাবাহিনীর জন্য বাধ্যতামূলকভাবে ২৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকায় এই আইন বাতিলের পদক্ষেপ বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিল। দেশের নিরাপত্তার জন্য এই আইন এখনো প্রয়োজনীয় বলে তারা বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.