কক্সবাজারে সাংবাদিকের উপর হামলা

0

সিটিনিউজবিডিঃ   মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাংগায় দূর্নীতিমূলক কাজে বাধা দেওয়ায় এলাকার প্রতিবাদী তরুন সাংবাদিক জামাল জাহেদ সন্ত্রাসীদের হাতে গুরুতর আহতঃ কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাংগা গ্রামের মাঝের রাস্তায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে পানির ড্রেন বসাতে,অন্যের বসতবাড়িতে অবৈধ প্রবেশ পুর্বক গাছপালা কেটে সীমানা ভেংগে কাজ করাতে গেলে এলাকার তরুণ সাংবাদিক সন্ত্রাসীদের হাতে গুরুত্বর আহত হয়।

ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার সকাল ১২ঘটিকার সময় ঘটিভাংগা পূর্ব পাড়ার মাঝের রাস্তায়।ঘটনার বিবরনে জানা যায় বিগত ২মাস আগে কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ঘটিভাংগা ১নং ওয়ার্ডে যায় এবং ইউপি সদস্য খোকা মেম্মারের অফিসে বসে এলাকাবাসীকে ডেকে সচিব ইউ পরিষদের পক্ষ থেকে বলেন,আমাদের কাছে ওয়াল্ড ব্যাংক কিছু বাজেট আসলো তাতে মনেহয় প্রতি ওয়ার্ড দেড় লাখ মতো করে পাবে,ঐ টাকা দিয়ে এলাকায় কি কি কাজ করা যায় তার প্রস্তাব দেবেন এলাকাবাসী এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে বলে তিনি জানান,পরে এলাকার অধিকাংশ মানুষ সম্মত হন ঘটিভাংগার পুরাতন জামে মসজিদ সংলগ্ন রাস্তা থেকে পুকুর পর্যন্ত ড্রেন বসানো পবে।

এর মধ্যে এলাকার কিছু দালাল প্রক্রিতির মানুষ ও চিন্নিত দালাল আনজু সহ কুতুবজোম চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে ভুলভাল বুঝিয়ে কাজটা যেখানে একান্ত করা দরকার,ওখানে না করার আলোচনা করলে খোকা মেম্বার সোজা জানিয়ে দেন তিনি এরকম কাজ করবেন না,তিনি তখন বলেছিলেন, আমার এলাকায় যেখানে কাজটা করা জরুরি সেখানে কাজ হবেনা,আর আগামী ১০০বছরে ও যেখানে ড্রেন দেওয়ার দরকার নেই সেখানে কেন কাজ হবে,তিনি এলাকার স্বার্থে একাজ করবেনা বলে চলে আসেন,পরে খোকা মেম্বারকে বাদ দিয়ে তাজিয়াকাটার মহিলা মেম্বারকে কাজটা করার জন্য দায়িত্ব দিলে,তার কাছ থেকে কাজটা কৌশলে হাতিয়ে নেয় স্থানীয় আমিরুজ্জামান আনজু নামে কতিপয় দালাল ও তার সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী যাতে বাজেটের অর্ধেক টাকা পকেটে ভরে,১৫০ ফুটের কাজ ৩৫ফুট করে।যেমন কথা তেমন কাজ।

সেই গোপন দুর্নীতিবাজ মনোভাব নিয়ে গত রবিবার কাজ শুরু করে দেয় খুব সকালে সবার অগোচরে তাদের বাড়ির সামনে লেবার দিয়ে কাজ শুরু অন্যর বসতবাড়ি অনধিকার প্রবেশ পুর্বক, আঙিগনার গাছপালা কেটে, বেড়া কেটে কাজ করার চেষ্টা করলে স্থানীয় তরুন সাংবাদিক জামাল জাহেদ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কাজ বন্ধ করার অনুরোধ জানালে,কাজ বন্ধ না করে কিছু বুঝে উঠার আগেই সন্ত্রাসী কায়দায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা এতোপাতাড়ী দা চুরি লোহার রড কোদাল দিয়ে ব্যাপকতর মারধর করে মারাত্মক জঘম করে,আহত ব্যক্তির শোর চিৎকারে আশপাশের মানুষজন এগিয়ে আসলো সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়,পরে স্বজনেরা উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা হাসপাতালে পাটালে, কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থা খারাপ দেখে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন এবং বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে ২মাস পুর্বে মিটিং থাকা একরাম ,বক্কর,আলমগীর মাহাথিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সকলে একই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,হা আমাদের ঐ ২মাস আগের মিটিং এ, সবার সম্মতি ছিলো একটাই,স্কুলের পূরাতন মসজিদের থেকে রাস্তা থেকে পুকুর পর্যন্ত কাজ করা,কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় তা না করে অপ্রয়োজনীয় জায়গায় ড্রেন করতছে,আর তা ও আরেকজনের বসতবাড়ির ভিতর দিয়ে অনুপ্রবেশ করে,যা অনৈতিক। অপরদিকে এলাকার ইউপি সদস্য নুরুল আমিন খোকা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,হা জিনিসটা হওয়ার কথা এক রকম করতেছে আরেক রকম,ইউ সচিবকে আমরা এলাকা থেকে মিটিং করে জানিয়াছিলাম পুরাতন মসজিদ হয়ে ড্রেন করার,তারচেয়ে বড় কথা আমার এলাকায় আমার কাজ করার কথা থাকলেও কোন পন্থায় কাজটা সন্ত্রাসীদের হাতে যায় তা আমার বোধগম্য নয়।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শফিউল আলমের আলম জানান,ঘটনা তিনি শোনেছেন তবে যতটুকু শোনেছি তা পুর্ব শত্রুতা মূলক ভাবে জামালকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে,ড্রেনের কাজ ভালোভাবে করতে বলাতে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.