শিশুশ্রম নিরসনে এমপিদের সমন্বিত পদক্ষেপ

0

ঢাকা : শিশুশ্রম নিরসনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতর সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্বারোপ করেছেন এমপিরা। তারা বলেছেন, শিশুশ্রম নিরসনে সরকার ইতোমধ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। যার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪৭টি মন্ত্রণালয় ও দফতরের কর্মকর্তাদের এবিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের আইপিডি সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তারা একথা বলেন।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি)’র শিশুশ্রম নিরসন সংক্রান্ত লক্ষ্যসমূহ অর্জনে ভারতের নয়াদিল্লী ভিত্তিক গ্লোবাল মার্চ এগেইনস্ট চাইল্ড লেবারের সহায়তায় বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম (বিএসএএফ) এই সভার আয়োজন করে।

বিএসএএফ’র চেয়ারপার্সন মো. এমরান-উল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। আলোচনায় অংশ নেন এমপি মো. ইসরাফিল আলম, নাজমুল হক প্রধান, উম্মে রাজিয়া কাজল ও কবি কাজী রোজী এবং বিএসএএফ’র পরিচালক আব্দুস সহিদ মাহমুদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অডিনেটর আব্দুল্লাহ আল মামুন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, শিশুশ্রম বন্ধে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও সদিচ্ছা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তার এই ঘোষণা বাস্তবায়নে এসংক্রান্ত আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে সরকারের পাশাপাশি জনগণকে আরো সচেতন হতে হবে। নিজের ঘরে শিশুশ্রমিক রাখা বন্ধ করতে হবে।

দারিদ্রতাকে শিশুশ্রমের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে নাজমুল হক প্রধান এমপি বলেন, শিশুশ্রম বন্ধে শুধু শহরে কাজ করলে হবে না। শিশুশ্রমের মূল উৎস গ্রামেও যেতে হবে। দরিদ্র মানুষের জন্য গ্রামে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে শিশুদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে হবে।

লিখিত প্রবন্ধে বলা হয়, দেশে এখানো ১৩ লাখ শিশু নানা ধরণের শ্রমের সঙ্গে জড়িত। এরমধ্যে ৪ লাখ ২০ হাজার শিশু গৃহকর্মে নিয়োজিত আছে। এসকল শিশুকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা করা প্রয়োজন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.