জেলহত্যা দিবস স্মরনে আলোচনা সভা ও ছাত্র সংগঠক সম্মাননা প্রদান

0

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস হত্যাকান্ড বাংলাদেশের জেলহত্যার ঘটনা। তিনি বলেন, জেলহত্যার বর্বর নৃশংসতার শিকার জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান মুজিবনগর সরকারের অন্যতম কান্ডারী ছিলেন। জাতির পিতার অবর্তমানে তারাই মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা করে দেশকে শত্রুমুক্ত ও স্বাধীন করেন।

মেয়র বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে জাতীয় চার নেতার অবদান চির ভাস্মর হয়ে থাকবে। তিনি বর্তমান প্রজন্মকে স্বাধীনতার ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারন করে আগামী প্রজন্মের নিকট পৌছে দেয়ার আহবান জানান।

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে ৩ নভেম্বর ২০১৬ খ্রি. বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম জামালখানস্থ প্রেস ক্লাব ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সংগঠক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে মেয়র এ সব কথা বলেন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম ও ৩৩ নং ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব। আলোচনা সভায় ছাত্র সংগঠক আবদুর রহিম জিল্লু, হাবিবুর রহমান তারেক, ফরহাদুল ইসলাম রিন্টু, আবদুল্লাহ আল মামুন, আজিজুর রহমান আজিজ, মো. ইলিয়াছ উদ্দিন, মো. হাসান মুরাদ, মেজবাহ উদ্দিন মোর্শেদ, ইয়াছির আরাফাত, আশিকুন নবী চৌধুরী, ফয়সাল বাপ্পী, মো. হেলাল উদ্দিন, আবু সাঈদ সুমন, দেবাশীষ আচার্য ও জায়িদ বিন কাশেমকে প্রধান অতিথি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট, সনদ ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই তুলে দেন। এতে আরো আলোচনা করেন যুবলীগ নেতা তানভীর আহমেদ রিংকু, খোরশেদ আহমেদ, মংলাই, তারেকুর রহমান, কবি আসিফ ইকবাল, মহানগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মিথুন মল্লিক, একরামুল হক রাসেল, এম কায়সার উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেল, অমিতাভ চৌধুরী বাবু, সম্পাদক মন্ডলীর মধ্যে আশরাফ উদ্দিন টিটু, কবির আহমেদ, ইমরান আলী মাসুদ, রাশেদ চৌধুরী, আবু সায়েম, অরভিন সাকিব ইভান, কায়সার মাহমুদ রাজু, সদস্য বোরহান উদ্দিন গিফারী, মোস্তফা কামাল, ফাহাদ আনিস, সাখাওয়াত পেয়ারু, রাশেদ মাহমুদ পিয়াস, আমিনুল ইসলাম শাওন, অনিক বড়–য়া, আলী হোসেন, মোরশেদুল আলম সহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ, ওমরগনি এমইএস কলেজ, কমার্স কলেজ, ইসলামিয়া কলেজ, বাকলিয়া সরকারী কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির আলোচনায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আরো বলেন, জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানের অবদান জাতি চিরদিন স্মরনে রাখবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী তার বক্তব্যে খুন-সন্ত্রাসের রাজনীতির অবসান চান। তিনি জেলহত্যার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, জাতির পিতাকে স্বপরিবারে এবং জেল খানায় জাতীয় চার নেতাদের নৃশংস ভাবে হত্যার পর দেশ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়।

তিনি বলেন, কাপুরুষের মতো জাতীয় নেতাদের গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে খুনীরা ১৯৭১ সনের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়ে ছিল। তারাই বাঙালিকে পিছিয়ে দিয়েছিল প্রগতি সমৃদ্ধ অগ্রমিছিল থেকে। বিশেষ অতিথি মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব।

তিনি বলেন, পাকিস্তান অনুসারীরা বাঙালির উপর প্রতিশোধ নিতে রক্তক্ষয়ী এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়। ১৯৭৫ এর পর দীর্ঘ ২১ বছর এ দেশে বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা চলে। তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে দেশ গড়ার। আসুন, সকলে মিলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.