চট্টগ্রাম বন্দর ৫ ডাকাতের হাতে জিম্মি হয়ে আছে : মহিউদ্দিন চৌধুরী

0

সিটিনিউজবিডি : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর ৫জন লুটেরা ও ডাকাতের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এরা চট্টগ্রাম বন্দরকে মাফিয়া চক্রের ঘাঁটিতে পরিণত করেছে। তারা বন্দরের প্রাণশক্তি শ্রমিক কর্মচারীদের শোষণ করছে এবং ন্যার্য্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।

তিনি আজ সকালে ৫নং জেটি গেইট সংলগ্ন প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে শ্রমিক বান্ধব পরিবেশ নেই। এমনকি নিরাপত্তাও নেই। এক কথায় চট্টগ্রাম বন্দর অরক্ষিত। এখানে শ্রমিকদের জন্য বিশ্রামাগার নেই, পর্যাপ্ত পানি নেই, শৌচাগারও নেই। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরে এক শ্রেণীর লুটেরাদের অনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন চলছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং রাজস্ব আদায় বিঘ্নিত হচ্ছে।
তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, শ্রমিকরা ভিক্ষুক নন। তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে আন্দোলন সংগ্রামে যেতে বাধ্য হবো।
তিনি আরো বলেন, আমরা বন্দর অচল করে দিতে চাই না। বন্দরকে সচল রাখার জন্য যা কিছু করা দরকার তা অবশ্যই করা হবে। আমরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী এবং এই আন্দোলন অধিকার আদায়ের হাতিয়ার।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, শ্রমিকদের অধিকার বঞ্চিত করার জন্য স্বার্থান্বেষী মহল শ্রমিকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির পায়তারা করছে। এদেরকে আমরা চিনি। বন্দরের শ্রমিকদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে শ্রমিক আন্দোলন বিভাজনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি ডক শ্রমিক, মার্চেন্ট শ্রমিক, স্টীভিডিউরিং স্টাফ ও ল্যাসিং-আনলাসিং শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে ডক বন্দর শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মালিকপক্ষের সাথে ইতোপূর্বে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারকচুক্তির শর্তসমূহ জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করার দাবি জানান।
এছাড়া ইতোপূর্বে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সার্কুলার অনুযায়ী সংখ্যা নির্ধারণ পূর্বক কর্মরত উইন্সম্যান বা ক্রেন অপারেটরদেরকে বন্দরের শ্রম শাখায় অর্ন্তভূক্ত করে অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারীদের ন্যায় সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদানের আহ্বান জানান।
এছাড়া মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের রিভিউ বেঞ্চ কর্তৃক ইতোপূর্বে প্রদত্ত চূড়ান্ত রায় অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর মেরিন কন্ট্রাক্টর ও পাহাড়াদার কল্যাণ সমিতির সকল ওয়াচমান ও পাহারাদারদের নিবন্ধনের প্রক্রিয়া অনতিবিলম্বে চালু করে স্ব কর্মে বহাল রাখারও দাবী জানান।
সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এর সহ সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিকরা ন্যায্য পাওনার কথা বললে কর্তৃপক্ষ উদাসীন থাকেন। শ্রমিকদের মাথা গোজার ঠাঁই নেই। অথচ বন্দরের শত শত একর ভূমি বেদখল হয়ে গেছে। আমরা উদ্বিগ্ন যে বন্দরের সম্পদ লাল দেয়ার চর তিনজনকে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এরা মাফিয়া চক্রের হোতা। শ্রমিক নেতা আবদুল আহাদের সভাপতিত্বে ও হাজী মো: হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমদ, শ্রমিক নেতা ইসকান্দর মিয়া, মীর নওশাদ, হাজী মো: নাছির, মনোয়ার আলী, মো: সোহেল, মো: নাছির প্রমুখ।
এতে উপস্থিত ছিলেন থানা আওয়ামী লীগের মো: হারুন অর রশিদ, আবু তাহের, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের হাসান মুরাদ, আবদুল মান্নান, শফিউল আলম, মো: ইলিয়াছ, শ্রমিক নেতা আবুল হাসেন আবু, মো: জসিম উদ্দিন, মো: মনির হোসেন, মো: আইয়ুব দোভাষ, এয়ার আহমদ, বকুল, মো: জানে আলম, মো: জাহেদ, হুমায়ন কবির, আশরাফুল হক, আবদুল আজিম, ছাত্রলীগের ইমরান আহমেদ ইমু , হুমায়ন কবির রানা প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.