যে পাঁচটি কারনে ট্রাম্পের জয় ও হিলারির পরাজয়

0

দিলীপ তালুকদার : বিশ্বের এক নম্বর ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করলো এক হাড্ডা হাড্ডি লড়াই।এই লড়াইয়ে আজ পর্যন্ত কেউ কারচুপির কোন অভিযোগ তুলতে পারেনি। হিলারির সমর্থকরা তাদের নেতৃীর পরাজয় মেনে নিতে না পেরে রাস্তঘাট ও দোকান পাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করেছে।তারা ট্রাম্প বিরোধী শ্লোগান ও দিয়েছেন।এর পরও ডোলান্ড ট্রাম্প আমেরিকার ৪৫ তম রাষ্ট্রপতি।ফল ঘোষনার সাথে সাথে বিশ্ব নেতারা টিলিফোনে,টুইটারে,প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় স্বতস্ফুর্ত অভিন্দন জানিয়েছেন। যে পাঁটটি কারনে ট্রাম্প জয় কেড়ে নিলেনঃ এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার জন্য প্রচারণা শুরুর পর থেকেই সব ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনী দৌড়ে থাকবেন সেটা খুব কম মানুষই ভেবেছিল, কিন্তু তিনি ভালোভাবেই ছিলেন। তারা ভেবেছিলেন, তিনি ভোট পর্যন্ত টিকতে পারবেনা, তিনি টিকলেনও। তারা ভেবেছিলেন কোনো প্রাইমারিতেও তিনি জিততে পারবেন না, কিন্তু তিনি পারলেন।

ডোনাল্ডের দল রিপাবলিকান পার্টি তাকে মনোনয়ন দেবে কিনা দলের ভিতর ভিন্নমত ছিল। তারা এমনও ভেবেছিল যে এই নির্বাচনে জেতা দূরের কথা তার পক্ষে প্রতিযোগীতায় থাকা কোনোভাবে সম্ভব না। কিন্তু এতো জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বেলা শেষে ট্রাম্পই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। অনেকের কাছে অনাকাঙ্খিত এই জয়ের পেছনে কি কারণ কাজ করেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে বিবিসি। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনে জিতে তিনি এমন পাঁচটি কৌশল নিয়েছিলেন, যা অনেকের কাছে অনাকাঙ্খিত ও দুর্বোধ্য ছিল।

এগুলো হলো- এক.ট্রাম্পের ‘শ্বেত জোয়ার’, বিতর্ক ও কেলেঙ্কারির পরেও অবিচল থাকা,দুই রাজনীতিতে ‘বহিরাগত’ হয়েও কাউকে পাত্তা না দেওয়া, তিন হিলারির ই-মেইল নিয়ে এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির তৎপরতা এবং নিজের ধারণার উপর ট্রাম্পের আস্থা।

জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে একের পর এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের রাজ্যগুলো চলে গেল ট্রাম্পের দখলে। হিলারি ক্লিনটনের ব্লু ফায়ারওয়াল ভেদ করে এই বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি। মধ্যপশ্চিমাঞ্চলে তার শক্তির উপরই ডেমোক্রেটদের শেষ ভরসা ছিল। মূলত কালো ও শ্রমিক শ্রেণির সাদা ভোটারদের উপর ভিত্তি করে ওই রাজ্যগুলোতে কয়েক দশক ধরে গেঁড়ে বসেছিল ডেমোক্র্যাটরা। ওই সব সাদা শ্রমিকরা- বিশেষ করে কলেজের দোরগোঁড়া না পেরনো নারী ও পুরুষরা- দলবেঁধে দলকে পরিত্যাগ করে

যে পাঁচ কারণে হিলারির হার
রিপাবলিকান শাসন। জনমত সমীক্ষায় আস্থা রাখা ভোট-পণ্ডিতরা মনে করছিলেন ফল বেরনোর পরে রিপাবলিকান পরিবারে টালমাটাল উঠবে। হারের কারণ নয়, কী ভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান প্রার্থী হলেন তাই নিয়েই চর্চা শুরু হবে। ফল বেরনোর পরে আলোচনা শুরু হল। শুরু হল ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে। সেই আলোচনার উৎস ফলাফলের সংখ্যাতাত্ত্বিক আলোচনা। সেই সংখ্যার দিকে তাকালে হিলারির হারের কারণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

আফ্রিকান-আমেরিকান, স্প্যানিশভাষী ল্যাটিনোস, মহিলা, কলেজ শিক্ষিত শ্বেতাঙ্গ যুবক-যুবতী ভোটারদের চারটি অংশকে ধরে প্রেসিডেন্ট পদে বসতে চেয়েছিলেন হিলারি। ওবামার পর পর দু’বার জয়ের পিছনে মার্কিন ভোটাদের এই চারটি অংশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। কিন্তু ফল বলছে এই চারটি অংশের কাছ থেকেই প্রত্যাশিত সমর্থন পাননি হিলারি।

যেমন আফ্রিকা-আমেরিকানদের মধ্যে বরাবরই জনপ্রিয় ওবামা। সেই জনপ্রিয়তার জোয়ারে তরী ভাসাতে চেয়েছিলেন হিলারি। তরী ভেসেছে। কিন্তু যে বেগে চললে ওভাল অফিসে পৌঁছনো যায় তা আসেনি। ভোটারদের এই অংশ থেকে ২০১২ সালে ওবামার জুটেছিল ৯৩

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.