রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়-চিকিৎসার সুবিধা নিশ্চিত করুন : ডা : শাহাদাত

0

সিটিনিউজবিডি : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চলছে। সে দেশে মানবতার বিপর্যয় চরমে। একজন বিবেকবান মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত। কোন সামরিক জান্তা নয়, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সং সুচির নেতৃত্বে পরিচালিত মিয়ানমারের প্রশাসনই এ অমানবিক, পৈশাসিক হত্যা ও নির্যাতনের হোতা। তাই মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাদের গণহত্যার দায়ে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সাং সুচির নোবেল প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে মুসলিম রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে তাদের নিরাপত্তা খাদ্য, চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারসহ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাসস্থান ও জীবনের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের অধিক মুসলিম রোহিঙ্গাদের পৈশাচিক নির্যাতনের মাধ্যমে গণহত্যা ও মা বোনদের ইজ্জতহানি করেছে। লক্ষাধিক মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে গ্রাম ছাড়া করেছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব দরবারে মানবতার কথা বলে কিন্তু পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের মসুলিম রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা নির্যাতন নিপীড়নের ব্যাপারে কোন কথায় বলছে না। আমরা অনতিবিলম্বে মুসলিম রোহিঙ্গা হত্যা কান্ড বন্ধ করে তাদের জীবনের নিরাপত্তা বিধানের আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আজ ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন সংলগ্ন নুর আহমদ সড়কে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে মুসলিম রোহিঙ্গাদের গণহত্যা ও নির্যাতন নিপীড়নের প্রতিবাদের মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এক সময়ের স্বাধীন ও ঐতিহ্যশালী আরাকান অঞ্চলে রাখাইন মুসলিমদের উপর মিয়ানমারের সরকারী বাহিনীর ছত্রছায়ায় পরিচালিত এমন পাশবিক হত্যা ও নিমূল অভিযানে প্রতিটি বিবেকবান মানুষ আজ স্তম্ভিত। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগ করে তাদের ভিটা মাটি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে তাদের দেশে ফিরে গিয়ে পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও নিরাপদে বসবাস করতে পারে তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিকভাবে কুটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি অবিলম্বে এ হত্যা কান্ড বন্ধে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে বিবেকবান বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এসময় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিচ মিয়া, পেশাজীবী ও ড্যাব নেতা ডা. খুরশিদ জামিল, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, বিএনপি নেতা সাবেক কমিশনার সামশুল আলম, এম.এ. আজিজ, মোহাম্মদ আলী, এস.এম.সাইফুল আলম, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কাজী বেলাল উদ্দিন, হারুন জামান, ইস্কান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আশরাফ চৌধুরী, সবুক্তগীন ছিদ্দিকী মুক্কি, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম হোসাইনী, আব্দুল গফ্ফার চৌধুরী, বিএনপি নেতা জিএম আইয়ুব খান, সৌরভ কোম্পানী, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, ফাতেমা বাদশা, শাহেদ বক্স, মোঃ সালাহ উদ্দিন, শরফরাজ কাদের রাসেল, বাবু টিংকু দাশ, কামরুল ইসলাম, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, বেলায়েত হোসেন বুলু, শিহাব উদ্দিন মোবিন, জেলি চৌধুরী, ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী নবাব খান, এস.এম জি আকবর, সৈয়দ শিহাব উদ্দিন আলম, জসিম উদ্দিন জিয়া, হাজী বাবুল হক, ইউসুফ জামাল, মোস্তফা কামাল, মোঃ সালাউদ্দিন, হাজী মোঃ তৈয়ব, মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, আলী আব্বাস খান, হাজী মুহাম্মদ মহসিন, মোঃ সেকান্দর, জামাল উদ্দিন জসিম, আলাউদ্দিন আলী নুর, আকতার খান, কাউন্সিলর হাজী ইসমাইল বালি, হাজী মোঃ বেলাল হোসেন, হাজী হানিফ সওদাগর, আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.