মানবতা ও মাতৃভুমিকে প্রাধান্য দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহবান, আনোয়ারায় জশনে জুলুছ

0

জাহেদুুল হক, আনোয়ারা  : আনোয়ারায় জশনে জুলুছের সমাবেশে বক্তারা বলেন মানবতা, মানুষ আর মাতৃভুমিকে প্রাধান্য দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা বন্ধে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশটিতে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষী বাহিনী পাঠানোর দাবি জানানো হয়। এছাড়া বৃহত্তর মুসলিম ঐক্যেরও ডাক দিয়েছেন আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী শতাধিক আলেম।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন দরবারে পীর, মাশায়েখ ও আলেমদের নেতৃত্বে আজ শনিবার ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জশনে জুলুছ পরবর্তী বিশাল সমাবেশে বক্তারা বলেন, মানবতা, মানুষ আর মাতৃভুমিকে প্রাধান্য দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে। জুলুছে আনোয়ারা, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী থেকে সুন্নিপন্থি হাজারো মানুষ আনোয়ারা কলেজ মাঠে সমবেত হয়ে জুলুছে যোগ দেন।

জুলুছের উদ্বোধন করবেন পীরে ত্বরিক্বত হযরত শাহ্ সুফী ইলিয়াছ রজা (ম. জি. আ.)। জুলুছে নেতৃত্ব¡ দেন বারীয়া দরবার শরীফের পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ বদরুদ্দোজা বারী ((ম. জি. আ.)। মাওলানা এস এম শাহজাহানের পরিচালনায় সমাবেশে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা এম.এ. মতিন প্রধান অতিথি, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মুহাম্মদ বিশেষ অতিথি ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এম এ অদুদ, আবদুল আজিজ আনোয়ারী, মাস্টার আবুল হোসেন, নাছির উদ্দিন ছিদ্দিকী প্রমূখ।

জুলুছটি উপজেলার প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ প্রদক্ষিণ করে সন্ধ্যায় উপজেলার কালাবিবির দীঘি মোড়ে সমাবেশ ও সমাপনী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআত, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনা প্রতিবছর ধারাবাহিকভাকে এই জুলুছের আয়োজন করে আসছে।

জুলুছ পরবর্তী সমাবেশে ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন বলেন, মায়ানমারে মানবতা আজ অস্থিত্বহীন। সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার, হত্যা, নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এ নির্যাতন বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। জাতিসংঘ, ওআইসি, সার্কসহ মুসলিম দেশগুলোর নেতারা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.