সুনাগরিক তৈরিতে আনন্দময় শিক্ষার বিকল্প নেই

0

গোলাম সরওয়ার : বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে কেন্দ্র করে পরিবেশ ও মানবাধিকার আন্দোলন-পমা আয়োজিত ‘আনন্দময় শিক্ষার অধিকার ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, আজকের শিশুরাই আগামির বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে। তাই তাদের আনন্দময় শিক্ষার পরিপূর্ণ অধিকার দিয়ে সত্যিকারের সুনাগরিকে পরিণত করতে হবে। এখন দেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং পরিবারে শিক্ষার্থীরা আনন্দময় শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ চিত্র সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পথে অন্তরায়। এ চিত্রের অবসানে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।

পমা’র চেয়ারপারসন শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আবসার মাহফুজ’র সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরকারি ট্রেনিং কলেজ চট্টগ্রাম-এর শিক্ষক শিশুশিক্ষা গবেষক অধ্যাপক সামশুদ্দিন শিশির। সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন শিক্ষাগবেষক প্রফেসর এস এম ওমর ফারুক, ড. মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, নাসরিন সুলতানা খানম, প্রিন্সিপাল অর্পিতা নারগিস, দীপালী ভট্টাচার্য, লায়ন জাহাঙ্গীর মিঞা ও এস এম সিরাজদৌলা। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, নাছিমা খানম, রেহেনা চৌধুরী, শবনম মুসতারী, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মো. দিদারুল আলম, গোলাম সরওয়ার, আবুল হাসেম, আলম মাহবুব, অধ্যক্ষ সোলাইমান কাসেমী, মাসুম খান, জসিমউদ্দিন চৌধুরী, আবুল হাসেম, আবুল কালাম, মাহাবুব হাসান মিলন, এইচ এম এনামুল হক মমতাজী, মোহাম্মদ সাহেদ ও মো. নাজিমউদ্দিন খান।
প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বলেন, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাকে যদি মজবুত ও আনন্দদায়ক করা যায়, তাহলে উচ্চস্তরের শিক্ষা নিয়ে আর ভাবতে হবে না। ভাবতে হবে না দেশের আর্থিক উন্নয়ন নিয়েও। শিক্ষাকে মজবুত ও আনন্দময় করা ছাড়া জাতির উন্নতি অসম্ভব। অধ্যাপক সামশুদ্দিন শিশির বলেন, শিশুরা আমাদের প্রাণ। তাদের হাসি মুখ আমাদের প্রাণ। শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের। তাই শিক্ষা সংক্রান্ত সকল কাজই আনন্দময় পরিবেশে সম্পন্ন করতে হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.