রূপবান শীম চাষ

0

কৃষি সংবাদ : গাছ, গাছের পাতা সবুজ, ফুল ও ফল রঙিন। স্থানীয়ভাবে এটি রঙির রূপবান নামের শিম। জেলার মাঠে মাঠে এই রূপবান রঙিন শীমের আবাদ বেড়েই চলেছে। চোখ জুড়ানো এই রঙিন শীম সহ বিভিন্ন জাতের শিমের সমারোহ চোখে পড়ে মেহেরপুরের মাঠে মাঠে ও বিভিন্ন বাড়ির আঙ্গিনায়। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে অন্যান্য জেলায়।

সরেজমিনে মেহেরপুরের আমঝুপি গ্রামের মাঠে দেখা গেছে রঙিন শীম গাছ। ছোট-বড় মেঠোপথ ও বাড়ির আঙিনায় লাগানো হয়েছে রঙিন শীম। শীমের ফুল ও ফলন হাসছে পুরো এলাকা। হাসছেন কৃষকেরা।

শীমবাগান থেকে শমি সংগ্রহর সময় কথা হয় আমঝুপি গ্রামের মোনাজাত আলীর সাথে। তিনি জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এই শিমের বীজ সংগ্রহ করেন তিনি। একবিঘা জমিতে পরীক্ষা মূলক ভাবে শিম চাষ শুরু। সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। বাজারে শিমের ভালো দাম থাকায় এ পর্যন্ত তিনি ১২হাজার টাকার মতো লাভবান হয়েছেন। বাগানে আরো ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো শিম রয়েছে। সে হিসেবে তিনি আশা করেন ৪০ থেকে ৪২হাজার টাকার মতো লাভ হবে তার।

কৃষক আতিকুর রহমান আক্ষেপ করে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কোনো কারিগরি প্রশিক্ষণ না থাকায় স্থানীয় চাষীরা সনাতন পদ্ধতিতে শিম চাষ করে থাকে। কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতা থাকলে যে কেউ সাবলম্বী হতে পারে। মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জের রফিকুল ইসলাম জানান তিনি ৩ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে রঙিন রূপবান জাতের শীমচাষ করেছেন। রঙিন হবার কারণে বাজারে এই শীমের ব্রাপক চাহিদা। এবং সবুজ শীমের চেয়ে প্রতি কেজিতে এক দুই টাকা বেশী দামে এই শীম বিক্রি করা যায়। এ পর্যন্ত রফিকুল উৎপাদন খরচ তুলে ১ হাজার টাকা লাভ করেছেন। এখনও ৪০ হাজার টাকার বেচাকেনা হবে বলে তিনি আশাপোষন করছেন।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এসএম মোস্তাফজুর রহমান জানান, গত দশ বছর ধরে মেহেরপুরে রঙিন রূপবান জাতের শীমচাষ হচ্ছে। এই রঙিন শীম সাধারণ শীমের চাষের পদ্ধতিতে চাষ হয়। বর্তমানে মেহেরপুর জেলায় প্রায় দেড়হাজার বিঘা জমিতে রঙিন রূপবান জাতের শীমচাষ হচ্ছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.