৮ জানুয়ারি খাদিজার সাক্ষ‌্য

0

সিটিনিউজবিডি : কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত‌্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা ওই তরুণীর সাক্ষ‌্য শোনার জন‌্য ৮ জানুয়ারি দিন রেখেছে সিলেটের আদালত।

বৃহস্পতিবার সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো এই দিন ঠিক করে দেন বলে অতিরিক্ত পিপি মাহফুজুর রহমান জানান।

ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে তিন দফা অস্ত্রোপচারের পর অনেকটা সুস্থ হলেও মাথায় আঘাত পাওয়া খাদিজা এখনও শরীরের বাঁ পাশে স্বাভাবিক সাড়া পান না। এ কারণে সাভারের সিআরপিতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক রেজাউস সাত্তার বৃহস্পতিবার সিলেটের আদালতে হাজির হয়ে এ মামলায় সাক্ষ্য দেন। আসামি বদরুলের উপস্থিতিতে এই চিকিৎসকের বক্তব‌্য শোনে আদালত।

গত ৫ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওই দিন ১৭ জন ও ১১ ডিসেম্বর আরও ১৫ জনের সাক্ষ্য শোনে আদালত।

খাদিজার সাক্ষ‌্য শোনা হলে এ মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে বলে অতিরিক্ত পিপি মাহফুজুর রহমান জানান।

গত ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মাথার খুলি ভেদে করে মস্তিষ্ক জখম হয়।

খাদিজার ওপর হামলাকারী বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন। তাকে ঘটনাস্থল থেকে ধরে তখনই পুলিশে দেয় জনতা।

ঘটনার পরদিন খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় হত‌্যাচেষ্টার মামলা করেন। বদরুলকে বিশ্ববিদ্যালয় ও সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

মামলার তদন্তে নেমে খাদিজাকে কোপানোর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। বদরুল নিজেও অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ পরান থানার এসআই হারুনুর রশিদ ৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। সেখানে ৩৭ জনকে সাক্ষী করা হয়।

গত ২৯ নভেম্বর আদালতে ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তার বিচার শুরু করে আদালত।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.