সিটিনিউজবিডি : চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস এলাকায় সোমবার সকাল ১১টায় বিলবোর্ড উচ্চেদ অভিযান শুরু করে ভ্রাম্যমান আদালত। আদালত পরিচালনা করে করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন। টাইগারপাসের কদমতলী সড়ক থেকে প্রায় সাতটি ছোট ছোট বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়।
নগরীর কোতোয়ালী থানার টাইগারপাস মোড় এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমান আদালতে বাধা দিয়েছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে উচ্ছেদ অভিযান শেষ করে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে আদালত।
পরে বিলবোর্ড মালিকদের দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে প্রকাশ্যে কোমর থেকে পিস্তল বের করে গুলি করে দেওয়ার হুমকি দেন নগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ।
বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন নগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ। রেলওয়ে থেকে অনুমোদন নেওয়া বিলবোর্ড কিভাবে উচ্ছেদ করা হলো তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জানতে চান তিনি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, নগরীতে সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া কোন সংস্থা বিলবোর্ড স্থাপনের অনুমোদন দিতে পারে না।
পরে টাইগারপাস এলাকায় দেওয়ানহাট ওভারপাসের পাশে একটি বিলবোর্ড কাটা শুরু করে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় টাইগারপাস এলাকার শাহীন আলম ও সোহাগের নেতৃত্বে লোকজন জড়ো হয়ে বিলবোর্ডটি কাটতে বাধা দেয়। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন নগর যুবলীগের সদস্য মোহাম্মদ আলী। এসেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রেলওয়ের এস্টেট বিভাগের এক কর্মকর্তা। বিলবোর্ডগুলো রেলওয়ের অনুমোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান তিনি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই কর্মকর্তাকে বলেন, রেলওয়ে সিটি করপোরেশনের ছাড়পত্র ছাড়া বিলবোর্ড স্থাপনের অনুমোদন দিতে পারে না।
এরপরও বিলবোর্ড কাটা অব্যাহত রাখলে মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক সঙ্গে সঙ্গে লাঠিসোটা নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলা চালাতে উদ্যত হন। এসময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। প্রায় ২০মিনিট ধরে চলে হাতাহাতি-ধাক্কাধাক্কি। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন বলেন,‘সকাল থেকে অনেকগুলো মিনি সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করেছি। দেওয়ানহাট ওভারপাসের পাশে বড় একটি বিলবোর্ড উচ্ছেদ করার সময় টাইগারপাসের স্থানীয় কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক বাধা দেয়। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে আমরা অভিযান শেষ করে চলে আসি।’