মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী গোষ্ঠিরা ইসলামেরও শত্রু

0

সিটিনিউজবিডি : বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক, পবিত্র কুরআনের সফল অনুবাদক আল্লামা এম এ মান্নান বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। আর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযুদ্ধে বাংলার গুটিঁকয়েক ব্যক্তি ব্যতীত সবার অংশগ্রহণ ছিল। তৎকালীন সত্যিকারের আলেম-ওলামারাও মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষে ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে এক শ্রেণীর গোষ্ঠী ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধকে সম্পূর্ণ বিপরীত হিসেবে প্রচার করতেছে। অথচ ইসলামে বলা হয়েছে দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। সূতরাং যারা দেশ-জাতির বিপক্ষে অবস্থান নেয়, তারা ইসলামের শত্রু।

তিনি আরো বলেন, ৭১ সালে শান্তি কমিটিতে যোগ দেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া আলীয়া মাদ্রাসায় পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর শান্তি কমিটি থেকে চিঠি দিয়েছিল। তৎকালীন অধ্যক্ষ মুসলেহ উদ্দীন সাহেব সরাসরি ঘোষণা দিয়েছিলেন, শান্তি কমিটিতে মাদ্রাসা থেকে কোন ছাত্র যোগদান করলে, তাকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং দু’জন ছাত্রকে এ অপরাধে তিনি বহিষ্কারও করেছিলেন।
গত ১৬ ডিসেম্বর’১৬ শুক্রবার বিকালে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন ট্রাস্টের উদ্যোগে ৮ দিনব্যাপী বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনী ৭ম দিনের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা এম এ মান্নান এসব কথা বলেন।
অতিথি ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা এম এ মতিন। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. নু ক ম আকবর হোসেন।
ব্যাংকার রাশেদুল হাসান মুরাদের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ চৌধুরী, শহীদ হালিম-লিয়াকত স্মৃতি সংসদের ভাইস-চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নুরুল হক চিশতি, পটিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পীরে তরিকত এয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু, সংগঠক আবদুর রহিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলা প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব স উ ম আবদুস সামাদ। উপস্থিত ছিলেন নুরুল ইসলাম জিহাদী, নাঈমুল ইসলাম, মাস্টার আবুল হোসেন, এনামুল হক ছিদ্দিকী, সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, জি.এম শাহাদত হোসাইন মানিক, এইচ এম শহীদুল্লাহ, ফয়সাল করিম চৌধুরী, নিজামুল করিম সুজন, মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, সৈয়দ মুহাম্মদ খোবাইব প্রমুখ।
মেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনায় ছিলেন মায়িশা তাসকিন হোসেন, নুর উদ্দিন, হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান, মুহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম, মুহাম্মদ ইমরান হোসেনসহ আস-সোবহান সাংস্কৃতিক ফোরামের শিল্পীরা।
পরে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়া শেষে অতিথিবৃন্দ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্বলিত ও ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্যের দুর্লভ চিত্র প্রদর্শনী এবং বুক স্টল পরিদর্শন করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.