চকরিয়া প্রতিনিধি : মালুমঘাট চা-বাগানের প্রবেশধারে নির্মিত মার্কেটে অতিরিক্ত সানসেট থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সহ বিভিন্ন যানবাহন প্রবেশ করতে পারছে না। অনেক সময় গাড়ি ঢুকতে না পারায় বাড়ি-ঘর পুড়ে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানসেট ভাঙ্গার নির্দেশ দিলেও তা মানছে না মার্কেট মালিকগণ।
চলতি বছরের ৮ফেব্রুয়ারি মালুমঘাট কাঁচা বাজারটি আগুনে পুড়ে যায়। সময় মত চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস এসেও আগুন নেভাতে পারেনি। মালুমঘাট চা-বাগানে ঢুকতে ৭-৮টি দোকান ঘরে সানসেট থাকায় ফায়ার সার্ভিসের ছোট গাড়ি প্রবেশ করেছে। কিন্তু বড় গাড়িটি প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে তরকারি বাজারের সবকটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ব্যবসায়িদের প্রায় দশ লাখ টাকা ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
পরবর্তী সময়ে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে বাজার সেটগুলো পুনরায় নির্মাণ করা হয়। সেট উদ্বোধনকালে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাহেদুল ইসলাম সানসেট গুলো ভেঙ্গে ফেলতে ভবন মালিকদের নির্দেশ দেন। নির্দেশ দেওয়ার পরও মার্কেট মালিকরা তাতে সাড়া দিচ্ছে না।
স্থানীয় লোকজন জানান, মালুমঘাট এলাকার বাসিন্দা নুরুল হক সওদাগর দীর্ঘদিন ধরে বনবিভাগের জায়গা অবৈধভাবে দখলে রেখেছে। সেখানে তিনি বাণিজ্যিকভাবে মার্কেট নির্মাণ করেছেন। চা-বাগান এলাকায় ঢুকতে সড়কের উপর একাধিক ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি। সানসেটের কারণে সহজে বড় গাড়ি গুলো ঢুকতে পারে না।
বিশেষ করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি বা ওইএলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আনা ইট-বালির ট্রাক গুলো। ফলে প্রতিনিয়ত সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। মালুমঘাট বাজারের জায়গার মালিক বনবিভাগ। বাজারটি বনবিভাগের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। বাজার নির্মাণের শুরুতেই বনবিভাগের জায়গাতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দখলে নেয়। অনেকেই জায়গা দখলে নিয়ে আঙ্গুলফুলে কলাগাছ বনে গেছে। এখনো পর্যন্ত প্রভাবশালীদের এই দখল বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য শওকত আলীকে জানানো হলে তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে সানসেটগুলো ভেঙ্গে ফেলার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এখনো পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই করেননি।
এলাকাবাসির দাবি, চা-বাগান সড়কে প্রবেশপথে সানসেট গুলো ভেঙ্গে ফায়ার সার্ভিস সহ জরুরি যানবাহন গুলো চলাচলের পথ সুগম করা।
এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাহেদুল ইসলাম বলেন, ভবন মালিকরা নিজেদের উদ্যোগে স্থাপনা গুলো ভেঙ্গে না ফেললে যে কোন সময় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।