অনলাইন ডেস্ক : মিয়ানমার থেকে আসা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৪১৫ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে। শুক্রবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০১৭ সালের মধ্যেই এসব রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে মিয়ানমার সরকারের।
বিভিন্ন সময় মিয়ানমার থেকে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূল এলাকায় বসবাস করছে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ সংখ্যা তিন লাখ বলা হয়েছে।
গত অক্টোবরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে বাংলাদেশের দিকে ফের রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি পাহারা জোরদার করলেও এরইমধ্যে অন্তত ৫০ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ২৪১৫ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যেই শুরু হবে এই পক্রিয়া। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘ফরেন অফিস কনসালটেশন’ (এফওসি) শীর্ষক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দুই দেশের মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে এই ইস্যু নিয়ে দুই দেশই সমাধানের পথে একমত হতে পেরেছে। ২০০৫ সাল থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন বন্ধ রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে রোববার অনুষ্ঠিত বৈঠকের ফলে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন আবার চালু হচ্ছে।’শহীদুল হক বলেন, ‘আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২৪১৫ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই ২৪১৫ জন মিয়ানমারের নাগরিক বলে বৈঠকে দেশটির প্রতিনিধিরা স্বীকার করেছেন।