সিটিনিউজ ডেস্ক:: টাঙ্গাইল-৩ আসনের (ঘাটাইল) এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জানান, মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যায় সংসদ সদস্য আমানুর ও তার ভাইদের নামে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারাগারে আটক অবস্থায় আমানুর ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই খুনি চক্রের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এমপি রানার অন্য তিন ভাই হলেন- টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান (মুক্তি), ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান (বাপ্পা) ও ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান (কাকন)।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সাংসদ আমানুর, তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গত ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই চার ভাইসহ ১০ অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া ও ক্রোক পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পুলিশ আমানুর ও তার ভাইদের বাড়ি থেকে গত ২০ মে মালামাল ক্রোক করে।
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র জানায়, ফারুক হত্যা মামলায় আমানুর ও তার ভাইদের জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্তে বের হয়ে আসে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে। তার পরপরই জাহিদুর ও সানিয়াত দেশ ত্যাগ করেন। ওই বছর নভেম্বরে আমানুর ও তার অপর ভাই সহিদুর আত্মগোপনে চলে যান। তারা আত্মগোপনে যাওয়ার পর টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সহিদুর সাধারণ সম্পাদক পদ হারান। গত অক্টোবরে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের জেলা কমিটি বিলুপ্ত হলে আমানুরের ধর্মবিষয়ক সম্পাদকের পদ চলে যায়। পরে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হলে আমানুর বা তাঁর কোনো ভাইকে কোনো পদে রাখা হয়নি।