বোয়ালখালীতে কাজে আসছে না কোটি টাকার সেতু !

0

বোয়ালখালী প্রতিনিধি::মাত্র ২ফুট সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসছে না বোয়ালখালী খালের উপর কোটি টাকায় নির্মিত প্রসন্ন মহাজন সেতু। বোয়ালখালীর সারোয়াতলী খিতাপচর থেকে পটিয়া উপজেলার খরনখাইন যাতায়াতে সহজ করে দেয় সেতুটি।সেতুর কাজ পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হলে সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচত বলে জানায় এলাকাবাসী।প্রায় ২শ ফুট প্রস্থের এ খালের উপর ২০১০সালে নির্মাণ করা হয় চেইনেজ সেতু।এ সেতু নিমার্ণের প্রায় ৪বছর পেরিয়ে গেলেও সংযোগ সড়কের সংস্কার না হওয়ায় সেতু ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। ফলে হেঁটে পার হওয়া ছাড়া এ সেতু কাজে আসছে না।জানা গেছে, বিট্রিশ আমলে এলাকার জমিদার প্রসন্ন মহাজন প্রথম পটিয়া-বোয়ালখালীতে যাতায়াতের সুবিধার্থে কাঠ-বাঁশ- লোহা দিয়ে এ সেতু নির্মাণ করান। ফলে ‘প্রসন্ন মহাজন’র ব্রীজ নামে সেতুটি পরিচিতি লাভ করে।স্থানীয়

উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রসন্ন মহাজন সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে এটি নির্মাণের পুন:উদ্যোগ নেয়া হয় বিএনপি সরকার আমলে। ওই সময় ৭০লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। পরবর্তীতে নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি পেলে সেতু নির্মাণে অনাগ্রহ প্রকাশ করে ঠিকাদাররা। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে সাংসদ মঈন উদ্দিন খান বাদল পূর্বের বরাদ্দকৃত অর্থ ৭০ লক্ষ থেকে প্রায় ১কোটি ১১লক্ষ টাকায়উর্ত্তীণ করেন।এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০সালে এটি নির্মাণ কাজের শুরু হয়ে ২০১২ সালে ১৬০ফুট দৈর্ঘ্যরে ২২ফুট প্রস্থের এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়।তবে সেতু নির্মাণের পর সংযোগ সড়কের সংস্কার না হওয়ায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না জানিয়ে এলাকাবাসী বলেন, এটি চলাচলের উপযোগী হলে পটিয়া উপজেলায় যাতায়াতে প্রায় ১০কিলোমিটার পথ বেঁচে যেতো। এছাড়া পটিয়া থেকে বেঙ্গুরা যাতায়াত সহজ হবে।

সরজমিনে দেখা গেছে, বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর জয় মঙ্গলা সড়কের প্রান্তে এ সেতু। সেতুর ওপারে পটিয়া অংশে সংযোগ সড়ক ভালো রয়েছে। ২০১৪ সালে সাংসদ শামসুল আলম পটিয়া অংশে সংযোগ সড়কের সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করেছেন বলে জানিয়ে আবদুল সোবাহান বলেন, বোয়ালখালী অংশের সংযোগ সড়ক সংস্কার না করা সেতুটি কাজে আসছে না।স্থানীয় আয়ুব, ফোরকান, কামাল জানান, সেতুটি থেকে বোয়ালখালী অংশে সড়কের পার্থক্য প্রায় ২ফুট। তাছাড়া জয় মঙ্গলা সড়কের বেহাল দশা গাড়ি চলাচল তো দুরে থাক, মানুষের হাঁটাও প্রায় অসম্ভব। ২০০০ সালে এটি কার্পেটিং হলেও বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, এ ব্রীজ নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক সংস্কারের অভাবে ৪বছরেও চলাচল উপযোগী না হওয়াতে দাশের দীঘি নতুবা মিলিটারী ব্রীজ হয়ে পটিয়া যেতে হয়।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল আলম বলেন, সেতুটি চলাচলের উপযোগী করতে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করি চলতি বছরে এটি চলাচলের উপযোগী করতে পারব।

সবুজ/এএম

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.