বাঁশখালীর কয়লা বিদ্যুৎনিয়ে আবারও দুই গ্রুপের সংঘর্ষ : আহত ২০

0

বাঁশখালী প্রতিনিধি :  বাঁশখালীতে নির্মিত দেশের আলোচিত কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে মতবিনিময় সভায় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আশংকাজনক দুই জনকে চমেকে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়। বাকীদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার(১ফেব্রুয়ারী) এস.এস. পাওয়ার লিমিটেডের কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে নৌবাহিনী ও প্রশাসনের সাথে স্থানীয় জনগণের মত বিনিময় সভার প্রাক্কালে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ নৌবাহিনী ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উপস্থিত জনগণ আতংকিত হয়ে পড়ে।

কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের স্থানীয় জনগণের ক্ষতিপূরণ ও যথাযথ পাওনা পাওয়ার আশ্বাস প্রদানের জন্য এই মত বিনিময় সভার আয়োজন করলেও সভায় গন্ডামারার আলোচিত মোহাম্মদ লেয়াকত আলী গ্রুপ ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা সংগ্রাম গ্রুপের লোকজনদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কারণে মত বিনিময় সভার প্রকৃত তথ্য জানতে পারেনি স্থানীয় জনগণ। তবে শেষ মুহুর্তে নৌবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কমডোর এম. সোহাইল স্থানীয় জনগণকে তাদের ন্যায্য পাওনা যথাযথ ভাবে বুঝিয়ে দেবেন বলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন।

সূত্রমতে, বেশ কিছুদিন যাবৎ কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় স্থানীয় জনগণের পাওনা টাকা নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন ও নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে স্থানীয় জনগণকে নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে প্রকল্প স্থানে। সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা এবং বাঁশখালীর প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ওই স্থানে জড়ো হয়। এ সময় লেয়াকত আলী বিপুল সংখ্যক লোক নিয়ে এসে মাঠের চার পাশে শোডাউন করলে নুরুল মোস্তফা সংগ্রাম গ্রুপের লোকজন তা বন্ধ করার জন্য দাবী জানান। এতে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

লেয়াকত আলী গ্রুপের লোকজন সংগ্রাম গ্রুপের লোকজনকে ধাওয়া করলে এ সময় ইট পাটকেল নিক্ষেপ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। তার মধ্যে একই পরিবারের ৪ ভাই, তারা হলেন- মোঃ আলী (৩০), মোঃ ইউনুছ (৪৫), জামাল হোসেন (৩৫), আবু সৈয়দ (২৫) তারা সকলই স্থানীয় পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকার খলিলুর রহমানের পুত্র। তারমধ্যে মোঃ আলী ও মোঃ ইউনুছকে আশংকাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে এই ঘটনায় আহত হয় মোস্তাফিজুর রহমান (৪৫), কবির আহমদ (৩০)সহ আরো প্রায় ১৫-২০ জন।

সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এম. এ মালেক মানিক, গন্ডামারার চেয়ারম্যান মাওলানা আরিফুল্লাহ, আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল মোস্তফা সংগ্রাম, ঘটনার নায়ক মোঃ লেয়াকত আলী, নৌবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কমডোর এম. সোহাইল প্রমুখ। এ সময় এস. আলমের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তাগণ, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তরী, সহকারী পুলিশ সুপার একেএম এমরান ভুঁইয়া, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেনসহ প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.