সিটিনিউজ ডেস্ক : টেস্ট ম্যাচে সেই স্পিন সহায়ক উইকেট বাংলাদেশ পাবে কি না, বলা মুশকিল। তবে অনুশীলন ম্যাচে একেবারে ধারণার বিপরীত উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। খুব গতিময় নয়, তবে বাউন্স ছিলো অনেক। ভারত ‘এ’ দলের দুই বাঁহাতি পেসার চামা মিলিন্দ ও অনিকেত চৌধুরীকে সামলাতে হিমশিম খেলো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
এই উইকেটে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করেছে ৬৭ ওভারে ৮ উইকেটে ২২৪ রানে। পঞ্চাশ ছুঁতে পেরেছেন মাত্র দুইজন। জবাবে দিনশেষে ১ উইকেটে ৯১ রান তুলে ফেলেছে স্বাগতিক দলটি।
নিউজিল্যান্ডে শেষ টেস্টে দারুণ ব্যাটিংয়ের পর প্রস্তুতি ম্যাচেও হেসেছে সৌম্যর ব্যাট। ব্যাটিংয়ে ছিল সেই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন। সম্ভাবনাময় ইনিংসটি বড় করতে পারেননি নিজের ভুলেই। অর্ধশতকের পরপর ফিরেছেন মুশফিকুর রহিমও। তবে চোট কাটিয়ে ফিরে তার রান পাওয়া ও ছন্দে থাকাই বড় খবর। আউটও হয়েছেন দারুণ এক ডেলিভারিতে।
টেস্ট একাদশের সম্ভাব্য দুই পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি ও তাসকিন আহমেদের সঙ্গে এই ম্যাচে বিশ্রাম পেয়েছেন সাকিব। ব্যাটসম্যানদের অন্যরা হারিয়েছেন উইকেটে সময় কাটানোর সুযোগ।
২২ রানে ইমরুল কায়েসকে হারিয়ে প্রথম ধাক্কা খেয়েছিলো বাংলাদেশ। এরপর তামিমকে সাথে নিয়ে বেশ এগোচ্ছিলেন সৌম্য। কিন্তু তামিম ব্যক্তিগত ১৩ রান করে ফিরে আসেন। এর পরপরই ফিরে আসেন মুমিনুল হক।
সৌম্যর শুরুটা ছিল ব্যাটের কানায় লেগে চার দিয়ে। তবে এক বল পরই হার্দিক পান্ডিয়াকে চার মারলেন ফ্লিক করে। আত্মবিশ্বাসটাও বুঝি পেয়ে গেলেন। খেলতে থাকলেন চোখ জুড়ানো সব ফ্লিক আর ড্রাইভ। বাউন্স সামলেছেন দারুণ, সুযোগ পেলে করেছেন পুল। মিলিন্দ ও অনিকেতকে সামলাতে বাকিরা জেরবার হলেও সৌম্যর সমস্যা হয়নি একটুও।
পেস দাপটের সঙ্গে খেলে সৌম্য কাটা পড়লেন স্পিনে। বলা ভালো, স্পিন না করা বলে। এবার রঞ্জি ট্রফির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ নাদিমের জোরের ওপর করা সোজা বল পেছনের পায়ে খেলে এলবিডব্লিউ (৭৩ বলে ৫৬)।
১১৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন বিব্রতকর অবস্থায় দল। আরো একবার উদ্ধারকর্তা মুশফিক। মনেই হয়নি চোট থেকে ফিরেছেন বা দল বিপদে। শুরু থেকেই যেন ছিলেন থিতু! সঙ্গী সাব্বির শুরুতে ভুগেছেন। তবে টিকে ছিলেন। সময়ের সঙ্গে খুঁজে পান ছন্দ। ষষ্ঠ উইকেটে দুইজনের ৭১ রানের জুটিই যা একটু এগিয়ে নিয়েছে দলকে।
এই জুটি ভাঙার পর আবার মিনি ধস। বিজয় শঙ্করের মিডিয়াম পেসে এলবিডব্লিউ সাব্বির (৩৩)। অনিকেতের লেন্থ থেকে লাফিয়ে ওঠা অফ স্টাম্প ঘেঁষা বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন মুশফিক। ৫৮ রানের চেয়ে বড় ব্যাপার অবশ্য তার ১৩৭ মিনিট উইকেটে কাটানো।